করোনা: দেশে মারা যাওয়া অর্ধেকের বেশি ষাটোর্ধ্ব বয়সী

দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মারা যাওয়াদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ষাটোর্ধ্ব বয়সী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে রবিবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ১৬১ জনে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া বয়স বিবেচনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ০ থেকে ১০ বছর বয়সী ২৪ জন, ০.৪৭ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ৪২ জন, ০.৮১ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১১৮ জন, ২.২৯ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ২৯৬ জন, ৫.৭৪ শতাংশ। ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৬৬৯ জন, ১২.৯৬ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী এক হাজার ৩৯৫ জন, ২৭.০৩ শতাংশ এবং ষাটোর্ধ্ব দুই হাজার ৬১৭ জন, ৫০. ৭১ শতাংশ।

এছাড়া, নতুন করে ১ হাজার ২৭৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ১৪৮ জনে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১০৫টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১০ হাজার ২৬১টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১০ হাজার ৬৮৫টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১৯ লাখ ৯ হাজার ৪৬০টি।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১.৯৩ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৮.৮১ শতাংশ।

নতুন যে ৩২ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২২ এবং নারী ১০ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ৯৯৬ জন বা ৭৭.৪৩ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ১৬৫ জন বা ২২.৫৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪৪ শতাংশ।

এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৭১৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার ৪৯১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭৫.৩১ শতাংশ।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।