কর্মচারীদের ১ বছরের বেতন দিতে ব্যর্থ হলে পৌরসভা বাতিল করা হবে: এলজিআরডি মন্ত্রী

কর্মচারীদের এক বছরের বেতন দিতে ব্যর্থ হলে পৌরসভা বাতিল করার লক্ষ্যে আইন সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি আজ রাজধানীর একটি হোটেলে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যোগে ‘স্ট্রেংদেনিং দ্য আরবান লোকাল গভর্ণমেন্টস্ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক ন্যাশনাল পলিসি ডায়ালগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তাজুল ইসলাম বলেন, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা তাদের নিজস্ব আইন অনুযায়ী চলে এবং নিজেদের আয়ে পরিচালিত হবে এমনটাই আইনে বলা আছে।

দেশের বেশিরভাগ পৌরসভা তাদের স্টাফদের বেতন দিতে পারেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে সকল পৌরসভা তাদের কর্মচারীদের এক বছর পর্যন্ত বেতন দিতে পারবে না তাদের পরিষদ ভেঙ্গে দিতে পৌরসভা আইনকে সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়া হবে। মানুষ পৌরসভায় ট্যাক্স দিতে পারেন না এমন কথা বিশ্বাসযোগ্য নয় বলেও জানান করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাগুলোতে নিজস্ব আয় বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারীর সংকট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিল এবং মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনেক অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্খা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন করতে হলে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের শুধু শক্তিশালী করলেই হবে না, জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করতে হবে। কারণ কেউ জবাবদিহিতার বাহিরে নয়।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহরের সকল সুযোগ সুবিধা গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। পুরো দেশই শহরে রূপান্তরিত হবে। আর শহরের সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে গেলে ঢাকায় মানুষের চাপ অনেকটাই কমে যাবে। জনগণ শহরের সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা হাতের নাগালেই পাবে ।

ঢাকাকে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন করতে হলে, জোন ভিত্তিক স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, রাস্তা, ওয়াটার বডিসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিস সরবরাহ করতে নতুন করে পরিকল্পনা নিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে আর ভবন নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না। কোথায় সুউচ্চ ভবন হবে, কোথায় কমার্শিয়াল এরিয়া হবে সকল পক্ষের মতামত নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে বাস্তবতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ‘স্ট্রেংদেনিং দ্য আরবান লোকাল গভর্ণমেন্টস্ ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পটি দেশের ১১ টি সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় পৃথক গবেষণা চালিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক ও আর্থিক দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাঁধাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধানে কাজ করছে। প্রকল্পটিতে বাংলাদেশ সরকার, ব্রিটেনের ফরেন, কমনওয়েলথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ আর্থিক ও কারিগরী সহায়তা করছে। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান