কারসাজির দায়ে একাধিক ব্যক্তিকে জরিমানা করলো বিএসইসি

একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজারে কারসাজির দায়ে জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

তৎকালীন কমার্স ব্যাংক সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের এভিপি  মো. সাইফুল ইসলামকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর ৬৭৬তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভার সিদ্ধান্ত মতে মো. সাইফুল ইসলামকে ৫০ লাখ টাকা, মো. আলী মনসুরকে ১০ লাখ টাকা, মুকুল কুমার সাহাকে ১ লাখ টাকা, লিপিকা শাহাকে ২ লাখ টাকা, মো. আব্দুল হালিমকে ২৫ লাখ টাকা, কমার্স ব্যাংকের ভিপি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে ২৫ লাখ টাকা, পদ্মা গ্লাস লিমিটেডকে ৫ লাখ টাকা, রহমত মেটালকে ২ লাখ টাকা, কাইউম অ্যান্ড সন্সকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া ইয়াকুত জাহান, পদ্মা ক্যানস অ্যান্ড কালিার্স, কমার্স ব্যাংক সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টকে সতর্ক পত্র ইস্যু করা হয়েছে।

বিএসইসি জানায়, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মুন্নু জুট স্টাফলার্স, মুন্নু সিরামিক, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসম, আলিফ ইন্ডাস্ট্রির শেয়ার লেনদেনে কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এসব কোম্পানির শেয়ার দরে অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে সক্রিয় অংশ গ্রহণের মাধ্যমে বাজারকে অস্থিতিশীল করে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ওর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭ ই, ভি লঙ্ঘন করেছে।

পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারে অনিয়মের কারনে মোস্তফা হেলাল কবিরকে ১০ লাখ টাকা, ফউজিয়া ইসয়াসমিনকে ১০ লাখ টাকা, কাজী শাহাদাত হোসেনকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া হাফেজা খাতুন, মবিউর রহমান সরকার, মেসার্স অহনা কন্সট্রাকশন, ইমাদ উদ্দিন আহমেদ, তাইজুদ্দিন আহমেদ এবং সৈয়দ আকবরকে সতর্কপত্র ইস্যু করা হয়েছে।

স্টাইল ক্রাফটের শেয়ারে অনিয়মের কারনে মো. ইডমুন গুডাকে ২ লাখ টাকা, মাহমুদুজ্জামানকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। মাহিন রব্বানী হক, তাহমিনা রব্বানী, সামসুল আলম, মো. মোস্তাক হোসেন, অসিম কুমার নাগ, সাবা নাগ এবং সোমা নাগকে সতর্কপত্র ইস্যু করেছে।

মুন্নু স্টাফলাসের শেয়ারে অনিয়মে সাইফ উল্লাহকে ১০ রাখ টাকা, মো. আব্দুস সেলিমকে ৫ লাখ টাকা, মো. জিয়াউল করিমকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া  মো. আতাউর রহমানকে সতর্কপত্র ইস্যু করেছে কমিশন।

এছাড়া রেনউইক যজ্ঞেশ্বরের শেয়ারে অনিয়মে জরিমানা করা ব্যক্তি- এএস শহিদুল হক, মো. মিজানুর রহমান এবং আব্দুল ওহাব ভূইয়াকে সতর্কপত্র ইস্যু করেছে কমিশন।

ব্যক্তিগুলোর বেশিরভাগই সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ওর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭ (e) (ii) (iv) (v) ধারা লঙ্ঘন করেছে।