কুমিল্লায় কৃষকরা কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন

কুল চাষে আগ্রহ বাড়ছে কুমিল্লার চাষিদের। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় কুমিল্লায় কৃষকরা কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। দিন দিন এ অঞ্চলে কুলের চাষ বেড়েই চলেছে। এখানকার অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে কুল বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করছে। মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় জেলায় কুলের চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, লাভজনক হওয়ায় অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি জেলার কৃষকরা কুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এ অঞ্চলে বাউকুল, আপেলকুল, তাইওয়ানকুল, নারিকেলিসহ বিভিন্ন জাতের কুলের চাষ হচ্ছে। এ মৌসুমে কুমিল্লা ৫২০ হেক্টর জমিতে কুলের চাষ হয়েছে। প্রতি কেজি কুলের পাইকারি মূল্য ৪০-৫০ টাকা। খরচ বাদে বিঘা প্রতি ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ করা সম্ভব। এখানকার উৎপাদিত কুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ জেলায় উৎপাদিত কুল বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। কুল বাগানে কর্মরত মনিরুল ইসলাম বলেন এ রকম বাগানে কাজ করে তিনি বেশ খুশি। বেতনও ভালো পান। বিপদের সময় অতিরিক্ত অর্থের চাহিদা থাকলে তিনি তা পান। পাইকারী ফল বিক্রেতা নূরুল ইসলাম বলেন আপেলকুল স্বাদে মিষ্টি, আকারে বড় ও দেখতে সুন্দর হওয়ায় ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য বাজারে এর চাহিদা বেশি হওয়ায় অন্যান্য কুলের চেয়ে এর বিক্রি বেশি। লাভও বেশি।

কুল চাষি জহিরুল ইসলাম বলেন, কুমিল্লার বাজারে এক কেজি কুলের দাম ৭০-৯০ টাকা। অন্য মৌসুমের তুলনায় এ বছর কুলের ব্যাপক ফলন হয়েছে। স্থানীয়ভাবে জাত উন্নয়ন করে উৎপাদিত কুল চাষে অধিক লাভের জন্য কুমিল্লায় কুল চাষে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। ফলে চাষিরা অন্য বছরের তুলনায় এ বছর লাভবান হচ্ছে বেশি। এতে করে কুমিল্লায় কৃষি অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বারও উন্মোচিত হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ মৌসুমে কুমিল্লায় কুলের ব্যাপক ফলন হয়েছে। চাষিরাও ভালো দাম পাচ্ছেন। আমরা তাদের সব ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান