কৃষিভিত্তিক ব্যবসাখাতে বাজেট প্রত্যাশা

যখন বাজেট আসে তখন আমরা প্রায়ই বাজেট নিয়ে কথা বলি। প্রতিবছর যে বাজেট দেয়া হয়, সেখানে কৃষিখাতে বাজেটের ধারাবাহিকতা অপরিবর্তিত থাকে। এটা ভালো একটা দিক। আমরা যারা কৃষির সাথে জড়িত, আমরা বুঝতে পারি যে, সরকারের কাছ থেকে আমরা যেটা পাচ্ছি, সেটা অব্যাহত থাকবে। এখন আমরা সরকারের কাছ থেকে ধারাবাহিকভাবে সার সাবসিডি পাই। যার ফলে অনেক কম দামে কৃষক সার কিনতে পারে। ফলে উৎপাদন খরচ অনেক কমে যায়। এরপর  ইলেকট্রিসিটির ক্ষেত্রেও সাবসিডি রয়েছে। যেখানে ইরিগেশন হচ্ছে, সেখানে ইলেকট্রিসিটিতে সাবসিডি দেয়া হচ্ছে। আমি বলব এটা একটা বড় সাপোর্ট।

বর্তমানে কোভিডের কারণে সরকার যেটা করেছে পোল্ট্রি, মৎস্য এবং গরুর খামারীদের প্রণোদনা দিচ্ছে। যদিও এই প্রণোদনা বাজেটে ছিল না, বিশেষ ব্যবস্থায় করা হয়েছে। আমি মনে করি, এই প্রণোদনা অব্যাহত থাকা দরকার। কারণ, আমাদের কৃষি ব্যবস্থা যেহেতু চলমান, প্রণোদনা অব্যাহত থাকলে তাহলে কোথাও কেউ  হোঁচট খাবে না।

ক্যাপাসিটি বিল্ডিং: আমি মনে করি কৃষিতে ধারাবাহিকভাবে দেখলে হবে না। এখানে প্রডাক্টিভিটি আনতে হবে এবং এই প্রডাক্টিভিটি বাড়াবার জন্য কয়েকটি  কাজ করতে হবে। প্রথমতঃ প্রাথমিক গবেষণা এবং উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করতে হবে।

দ্বিতীয়তঃ যেহেতু আমাদের দেশে পোস্ট হার্ভেস্টের তেমন কোনো কাঠামো  নেই, তাই  পোস্ট হারভেস্টে  ক্যাপাসিটি  বিল্ড করতে হবে। এখন আমাদের কোভিড চলছে, এটা চলবে, থেমে যাবে না। এই কোভিড চলাকালীন অনেক মানুষ বেকার হয়ে গেছে। অনেক ছাত্র লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছে, নতুন কাজ পাচ্ছে না, তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। আমি মনে করি, এই তিনটা জিনিসে গুরুত্ব দিলে কৃষি গতি পাবে এবং একটা ভালো রূপান্তর হয়ে যাবে। আমি যেটা বলার চেষ্টা করছিলাম, কৃষি গবেষণা ও ইনোভেশনে বাজেটে চিন্তা করতে হবে।

গবেষণায় গুরুত্ব: আমাদের দেশে তো গবেষণা হয়। প্রায় দশ-বারোটি প্রতিষ্ঠান এই গবেষণার সাথে সম্পৃক্ত। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা করে, প্রাইভেট কোম্পানি গুলো অল্প অল্প করে গবেষণা শুরু করেছে। আমরা কেন এটা নিয়ে আলাদা কথা বলতে চাচ্ছি। আমাদের গতানুগতিক গবেষণাতে বাজেটে টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেটা দিয়ে মোটামুটিভাবে যে গবেষণা চলছে সেভাবেই চলে, অসুবিধা হয় না। এটাকে আরো গতি দিতে হবে। কারণটা হলো এই যে, আমাদের বৈশ্বিক যে আবহাওয়ার পরিবর্তন তার হিট কিন্তু বাংলাদেশেও আসছে। যার কারণে  দিন রাতের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। আদ্রতা বাড়ছে, অসময়ে বৃষ্টি হচ্ছে, লবণাক্ততা বেড়ে যাচ্ছে এবং নদীতে পানি থাকছে না, মাটির নিচের পানিও শুকিয়ে যাচ্ছে।  গবেষণা করে খুঁজে বের করতে হবে। ল্যাবরেটরী থেকে মাঠে পুরোপুরি ফল পেতে দশ-পোনেরো বছর লেগে যাচ্ছে। এটাকে তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। হয়তো কথাটা মনে হবে, আমরা অস্বাভাবিক কিছু প্রত্যাশা করছি। কতক গবেষণা আছে যেগুলো শুরু করলে পাঁচ থেকে দশ বছর লাগবে। আবার কতগুলো অ্যাডভান্স গবেষণা  আছে যেটাকে গতি দিতে গেলে তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ফসল দেয়া সম্ভব। কতগুলো গবেষণা আছে সেগুলো বাহির থেকে ব্রিড নিয়ে এসে লোকালি এক বছর দেখলে হয়ে যায়। সর্বক্ষেত্রেই সব স্টেজে আমাদের বিনিয়োগ করতে হবে। যে পাবলিক প্রতিষ্ঠানগুলো আছে সেগুলোকে গতি দিতে হলে, তাদের ল্যাবরেটরী ফ্যাসিলিটিজ, ল্যাবরেটরীতে যে সমস্ত ক্যাপাসিটি আছে, সেগুলোকে সাপোর্ট করার জন্য বিজ্ঞানীদেরকে প্রণোদনা দিয়ে তাদের ত্বরান্বিত করতে হবে। বাংলাদেশে প্রাইভেট সেক্টরে সবজি বীজে,  ভুট্টায় প্রায় ৯০  ভাগ সাপ্লাই দেয়। মুরগি, মাছ, গরু পুরোপুরিভাবে প্রাইভেট সেক্টরে অর্থাৎ খাদ্য সরবরাহ প্রাইভেট সেক্টর জড়িত। প্রাইভেট সেক্টরের গবেষণাকে ত্বরান্বিত করতে হবে। কারণ হলো, এই বর্তমান বিশ্বে কিন্তু যত ইনভেস্টমেন্ট হয়েছে, সবই কিন্তু প্রাইভেট সেক্টরে হয়েছে। প্রাইভেট সেক্টরের ফ্লেক্সিবিলিটি আছে তাদের একটা কমিটমেন্ট আছে। সেজন্য প্রাইভেট সেক্টরে ক্যাপাসিটি বিল্ড করতে হবে।

আমাদের কৃষি বাজেট বেশি বড় নয়, সর্বক্ষেত্রে সবকিছু সরকার করতে পারবে না। আমি মনে করি, ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে শুরু করা উচিত। প্রতিষ্ঠিত প্রাইভেট ২৫টা কোম্পানিকে ২০ কোটি টাকা করে যদি দেয়া হয়, তাহলে ৫oo কোটি টাকা দিয়ে কোম্পানির ক্যাপাসিটি বিল্ড করা সম্ভব। এখন যেহেতু কৃষি ব্যবসা লাভজনক, তাহলে কেন সরকারকে টাকা দিতে হবে। গবেষণা করতে গেলে যেটা হয়, আমি যদি ৯ শতাংশ সুদে টাকা নিয়ে কাজ শুরু করি। যেহেতু গবেষণায় তাৎক্ষণিক কোনো রেজাল্ট পাওয়া যাবে না, ছয় বছরে মূলধন জিরো হয়ে যাবে। যে সমস্ত কোম্পানির সক্ষমতা আছে বা গবেষণা করতে পারবে, তাদেরকে একেবারে শূন্য ইন্টারেস্টে টাকা দিতে হবে। তাদের বলা হবে যে, তোমরা ১০ বছর পর টাকা ফেরত দেবে। তাহলে একটা প্যারালাল সিকিউরিটি থাকবে ও সরকার টাকা ফেরত পাবে। এসব প্রাইভেট সেক্টর বাহির থেকে মনিকুলার রিলেটেড যে, সমস্ত মেটেরিয়াল আছে, এগুলো আনতে পারবে খুব দ্রুত। এখন যা করছে সবজিতে, ভুট্টাতে, মুরগিতে, মাছে, গরুতে। তখন দেখা যাবে বাংলাদেশে পুরো একটা সিস্টেম ক্যাপাসিটি বিল্ড হয়ে গেছে। তখন উৎপাদন বেড়ে যাবে, কৃষকের লাভ হবে। আমাদের বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করতে হবে না। তখন আমরা আমাদের দেশে খাদ্য উৎপাদন করতে পারব, খাদ্য সরবরাহ করতে পারব এবং খাদ্য প্রাপ্তির জন্য যত ব্যবস্থা করা দরকার সেটা করতে পারব।

দ্বিতীয়তঃ পোস্ট হারভেস্টে যদি আমরা ক্যাপাসিটি বিল্ড করতে পারি তাহলে সুবিধা হল এই, আমরা যে সমস্ত ফসল উৎপাদন করি অনেক ক্ষেত্রেই নষ্ট হয়ে যায়। সবজি বাজারে বিক্রি করতে গেলে ফেলে দিতে হয়। যে সমস্ত সবজি, ফল কোল্ড স্টোরেজে রাখা যায়, সেগুলো রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। সেগুলো ট্রান্সপোর্টেশনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং যেখানে বিক্রি হয়, সেখানে কোল্ড ষ্টোরেজ করে রাখার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলে সুবিধা হবে এই যে, কৃষক এই সমস্ত সবজি, ডিম, মুরগির মাংস অথবা দুধ রেখে বিক্রি করতে পারবে, দামাদামি করতে পারবে। যেহেতু এটা পচনশীল জিনিস, রাখা যায় না, তাৎক্ষণিক বিক্রি করে দিতে হয়। এজন্য কিন্তু সে দামাদামি করতে পারে না ও ন্যায্য দাম পায় না। এই কারণে ক্যাপাসিটি বিল্ড করতে হবে।

কিভাবে ক্যাপাসিটি বিল্ড করা যাবে? একটা উপায় হলো, শহরের যে সব জায়গাতে মার্কেটপ্লেস, সেসব জায়গাগুলো অনেক দামি। এর থেকে দূরে গেলে ভালো কিছু করা যাবে না। সেখানে সরকারের যে সমস্ত জায়গা আছে, সেখানে কোল্ড হাউস বা ওয়্যারহাউজ তৈরি করতে হবে। এ সমস্ত ওয়্যার  হাউজের ম্যানেজমেন্ট ভালো কোনো প্রাইভেট কোম্পানিকে দেয়া যেতে পারে। চুক্তি থাকবে, কৃষক মধ্যস্বত্বভোগী যারা আছে, এ সমস্ত জায়গা থেকে তাদের যখন কোনো পণ্য লাগবে, তখন নির্দিষ্ট ফি দিয়ে পণ্য সংগ্রহ করবে।

আরেকটা উপায় হলো, সরকার জমি দিবে, আর স্বল্প সুদে টাকা দেবে। প্রাইভেট কোম্পানি ওই জায়গাতে স্ট্রাকচার তৈরি করবে। সেখানে শর্ত হল, দৈনিক, প্রতিকেজি অথবা লিটার হিসেবে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি থাকবে।

কৃষি উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন: কর্মসংস্থানের ব্যাপারে বলতে গেলে, আমাদের দেশে এখন প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে। এ সমস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে ছেলেমেয়েরা শিক্ষিত হয়ে বের হচ্ছে। এখানে অনেকে কাজ পাচ্ছে না। আবার অনেকে বিদেশ থেকে ফেরত আসছে, খালি হাতে গ্রামে ফিরে গেছে। এদের কর্মসংস্থান করতে হবে। অন্যান্য সেক্টরের তুলনায় কৃষি সেক্টরে সুবিধা বেশি। তিন থেকে চার বছরের  ক্রপ সাইকেলে অথবা পোল্ট্রি সাইকেলে দেখা যাবে স্বল্প সময়ে রিটার্ন আসা শুরু হয়েছে। এখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।  যারা কৃষি ব্যবসা-বাণিজ্য করতে চায়, তাদের দুটো জিনিস লাগবে। একটি হলো ম্যানপাওয়ার, যেটা আমাদের দেশে আছে, তাদের ট্রেনিং লাগবে। আর লাগবে টাকা। এরজন্যে শুরু করতে হবে কৃষি উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন। কারণ আমাদের কৃষি প্রধান দেশ এবং প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ কৃষির সাথে জড়িত। আমরা যদি এই ফাউন্ডেশন তৈরি করতে পারি, সরাসরি উদ্যোক্তারা এখান থেকে লোন নিতে পারবে। অথবা কোম্পানিগুলো লোন নিয়ে যে সমস্ত যন্ত্রাংশ  কৃষি কাজের সাথে জড়িত সেগুলো কৃষকদের দিতে পারবে। ব্যাংকের সাথে এটার পার্থক্য হচ্ছে, ব্যাংক থেকে টাকা নিলে কোলেটোরাল দিতে হয়, যেটা  আমাদের দেশে অনেকেরই নাই।

আর উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশনে অসুবিধা হচ্ছে, এখানে তার এনআইডি দিয়ে সে লোন নিতে পারছে, অথবা যে যন্ত্রটা নিয়েছে, সেই যন্ত্রটাকে  কোলেটোরাল দিয়ে সে লোন নিতে পারছে। এখান থেকে বিনা সুদে কৃষক এবং যারা নতুন ডিলার হবে, তারা লোন নিতে পারবে এবং সামগ্রিক কৃষি উন্নয়নে সহযোগিতা করতে পারবে। কোনো উদ্যোক্তা ফলবাগান করবে, কেউ  মাছের খামার করবে,  মুরগীর খামার করবে। তারা এই কৃষি উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন থেকে বিনা সুদে লোন নিতে পারবে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, আমাদের দেশে কিন্তু এই ধরনের ফাউন্ডেশন আছে। যেমন, এসএমই ফাউন্ডেশন, পিকেএসএফ আছে। তাহলে নতুন করে কেন ফাউন্ডেশন? পার্থক্য হল পিকেএসএফ এবং এসএমই এনজিওর মাধ্যমে লোন দেয়। তারা সার্ভিস চার্জ যুক্ত করে। পিকেএসএফ এবং এসএমই’র মত যদি কৃষি উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন হয়, তাহলে আমাদের দেশে অনেক কর্মসংস্থান হবে।

বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কৃষিতে সাপোর্ট দিচ্ছে। বাজেটে একই কথা প্রতিবছরই বলি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কৃষিতে গবেষণায় জোর দিতে হবে। জনগণ এটাকে যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে নিয়েছে এবং আশা দেখছে। সবাই জানে, গবেষণা করলে প্রডাক্টিভিটি বাড়ে। এখন যদি বলা হয়, বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ থাকবে, প্রাইভেট সেক্টরে ক্যাপাসিটি বিল্ড করা হবে, আর সরকারি যেসব গবেষণা আছে, সেসব গবেষণার গতি সঞ্চার করা হবে। যদি বলা হয় পোস্ট হার্ভেস্টের পিপিপির মাধ্যমে কোল্ডস্টোরেজ, কোল্ড চেইন মেন্টেন করা হবে, তাহলে কৃষক কিন্তু আশা পাবে। যদি বলা হয়, কৃষি উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন করা হচ্ছে। নতুন করে বাংলাদেশ কৃষকের জন্য, কৃষকের ছেলের জন্য, যারা বিদেশ থেকে ফেরত এসেছে তাদের জন্য, যারা গ্রামে পড়াশোনা করে উদ্যোক্তা হতে চায় তাদের জন্য, যারা কৃষি ইনপুট নিয়ে তাদের খামারে ব্যবহার করবে তাদের জন্য, দেখা যাবে সামগ্রিকভাবে একটা ভালো ইমেজ তৈরী হবে, অনুপ্রেরণা জোগাবে। মানুষ অনেক খুশি হবে। এদেশের কৃষক এত খুশি হবে, তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে কৃষি উৎপাদনে, কৃষকের ছেলে আর বেকার থাকবে না। কৃষিতে উৎপাদন বেড়ে যাবে। কৃষক তার পণ্য কোল্ডস্টোরেজে রেখে দামাদামি করে বিক্রি করতে পারবে। আমি মনে করি, এসমস্ত খাতে বাজেটে জোর দেওয়া উচিত।

বাজেটে তিনটা জিনিসের গুরুত্ব দেওয়া উচিত। প্রথমতঃ গবেষণা ও উৎসাহ। দ্বিতীয়তঃ  পোস্ট হারভেস্ট। তৃতীয়তঃ কৃষি উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন।
প্রশ্ন আসতে পারে যে গত বছর কৃষি  যান্ত্রিকরনের জন্য সরকার ৩০২০ কোটি টাকা দিয়েছে এটা খুব ভাল উদ্যোগ। আমি কিন্তু আমার আলোচনার প্রথমেই বলেছি, সরকার যে সমস্ত উদ্যোগ নিয়েছে, সবগুলোই সাপোর্ট করছে এবং কৃষিতে নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। এবারও যদি এই তিনটি বিষয়ের উপর বাজেটে গুরুত্ব দেয়া হয় তাহলে মানুষের আস্থা আরও অনেক বেড়ে যাবে।

ড. এফ এইচ আনসারী
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী, এসিআই এগ্রিবিজনেসেস।