গলছে অ্যান্টার্কটিকের বরফ

উষ্ণায়নের কারণে বাড়ছে সমুদ্রের তলদেশের তাপমাত্রা। ফলে গলছে অ্যান্টার্কটিকের বরফ স্তর। বিজ্ঞানীদের মতে, এই শতাব্দীর শেষে মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বরফ স্তর ফিলনার-রোন দ্রুত হারে গলতে শুরু করবে। তাঁদের আশঙ্কা, একবার এই প্রক্রিয়া শুরু হলে তা থামানো যাবে না।

সাধারণত, শীতকালে বা ঠিক তার আগে সমুদ্রের তলদেশে থাকা বরফ স্তর প্রচুর পরিমাণে লবণ বার করে। যা উল্টে গ্রীষ্মে সমুদ্রের তাপমাত্রা কমিয়ে ওই বরফকে জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। মেরু এবং সামুদ্রিক অঞ্চল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো গবেষকরা সম্প্রতি অ্যান্টার্কটিকের ফিলনার-রোন বরফ স্তর লাগোয়া ওয়েডেল সমুদ্রে পরীক্ষা চালান। তারা দেখেছেন, ওয়েডেল সমুদ্রের তলদেশের তাপমাত্রা আগের থেকে বেড়ে যাওয়ায় সেভাবে সমুদ্রের তলদেশের বরফ স্তর জমাট বাঁধছে না। যা ক্রমে স্থায়ীভাবে শীতল জলের বাঁধকে ভেঙে ফেলবে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন ওয়েডেল লাগোয়া আমুন্ডসেন সমুদ্রের উষ্ণতা বেড়ে গিয়েছে। সেই তাপমাত্রা কম করা সম্ভব নয়।

সমুদ্র উষ্ণ হতে থাকায় সমুদ্রের তলদেশে বরফ জমছে না। উষ্ণ জলের স্রোত ক্রমেই বরফ স্তরের দিকে সরছে। যা গলিয়ে দিচ্ছে অ্যান্টার্কটিকের বরফ। এই স্রোত ক্রমশ আরও উষ্ণ হবে, এবং যত তা বরফ স্তরের দিকে সরবে, তত দ্রুত স্তর গলবে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, ২০৭০ সাল থেকে এর প্রমাণ প্রত্যক্ষ হবে বলে। ২১০০ সালের মধ্যে তুষারাবৃত মহাদেশের অধিকাংশই কার্বোন ডাই-অক্সাইডের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সূত্র: ফজলুল বারি

আজকের বাজার: সালি/ আরআর/ ১৫ মে ২০১৭