গাবতলীর সংঘর্ষে পরিবহন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ, আটক ৭

রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় পুলিশের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনায় শাহ আলম (৩৮) নামে শ্রমিক গুলিবদ্ধ হয়েছেন।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপতালের এইচডিইউ (হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা আশংকাজনক। আহত শাহ আলম বৈশাখী পরিবহনের চালক বলে জানা গেছে।

এদিকে সংঘর্ষের জের ধরে ৭ পরিবহন শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ। ঢামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. জেসমিন নাহার দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গাবতলীতে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে একজনকে নিয়ে আসা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এইচডিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার জের ধরে ফের গাবতলীতে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১ মার্চ) সকাল থেকেই পরিবহন শ্রমিকরা গাবতলীতে অবস্থান নিয়ে যে কোন ধরনের পরিবহন চলাচলে বাধা তৈরি করতে থাকে। এমনকি অ্যাম্বুলেন্সও রেহাই দিচ্ছে না তারা। সকালের দিকে শ্রমিকরা দুটি অ্যাম্বুলেন্সে ইটপাটকেল ছুড়ে ভাঙচুর চালায়। এতে অ্যাম্বুলেন্সের কাচ ভেঙে যায় এবং ভেতরে থাকা রোগীর এক স্বজন আহত হন। এ সময় শ্রমিকরা সেনাবাহিনীর একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়ে। এতে গাড়ির পেছনের গ্লাস ভেঙে যায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সকাল ১০টার দিকে পুলিশ গাবতলী এলাকায় অভিযান শুরু করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ শুরু হয়। শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়ে। পুলিশ এ সময় পাল্টা রবার বুলেট ছুঁড়লে শাহ আলম নামে ওই শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় দ্রুত তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল থেকে ৭ শ্রমিককে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম উজ-জামান।

এর আগে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে র‌্যাব-পুলিশের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের একটি র‌্যাকারেও আগুন দেন পরিবহন শ্রমিকরা। এ ছাড়া কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সের জানালাও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যসহ আরও কয়েকজন আহত হন। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

আহত তিন পুলিশ সদস্য হলেন-অনিক, রবিউল ইসলাম ও মিজু আহমেদ। এরা সবাই মিরপুর পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল। অন্য আহতরা হলেন— ট্রাকচালক ইসমাইল, ট্রাকের শ্রমিক রবিউল ইসলাম, গরু ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন ও রুবেল নামের এক হোটেল কর্মচারী। এরা সবাই রবার বুলেটে আহত হয়েছেন বলে জানান ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া।

 

সুত্র: দ্য রিপোর্ট