গ্রন্থাগারিকতা পেশার উন্নয়নে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ‘বেলিড সম্মাননা’ প্রদান।

বাংলাদেশ গ্রন্থাগারিক ও তথ্যায়নবিদ সমিতি (বেলিড)-এর ২৩তম সাধারণ সভা দেশের গ্রন্থাগারিকতা পেশার উন্নয়নে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১১জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ‘বেলিড সম্মাননা’ প্রদান করেছে। এ সকল গুণী ব্যক্তিদের নেতৃত্বে দেশের গ্রন্থাগার পেশাজীবীগণ ২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত দীর্ঘ পাঁচ বছর ধারাবাহিকভাবে রাজপথে আন্দোলন ও কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিকদের শিক্ষক পদ-মর্যাদা ও পদবী যথাক্রমে ‘গ্রন্থাগার প্রভাষক’ ও ‘সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান)’ অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

২৭ নভেম্বর ২০২১ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মুনীর চৌধুরী মিলনায়তনে বেলিড চেয়ারম্যান হাজেরা রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে প্রত্যেককে বেলিডের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সম্মাননা প্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- বেলিডের আজীবন সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য বেগম আখতার জাহান, বেলিডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মির্জা মোহাঃ রেজাউল ইসলাম এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও রয়্যাল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকার অধ্যাপক ড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বেলিডের আজীবন সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এস এম জাবেদ আহমেদ, বেলিডের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যানগণ যথাক্রমে সৈয়দ আলী আকবর, ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, এ কে এম মফিজুর রহমান ও আবু মোহাঃ হান্নান মিয়া, সাবেক মহাসচিব শশাংক কুমার সিংহ, বাংলাদেশ বিদ্যালয় গ্রন্থাগার সমিতির সভাপতি এ এফ এম কামরুল হাছান এবং জাতীয়করণকৃত ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গ্রন্থাগার সমিতি (এনজেল) সভাপতি আবুল মাজদার মাহফুজ আহাম্মদ।

উল্লেখ্য, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা কর্তৃক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভার্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা ২০০৯ (সংশোধিত) পরিপত্রে গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিকগণ শিক্ষক হিসেবে গণ্য হইবে না উল্লেখ করা হয়েছিল। ফলে গ্রন্থাগারিকগণ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ভোট দানের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় এবং নিজ প্রতিষ্ঠানে বৈষম্যের স্বীকার হতে থাকেন।