গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিতে বাংলাদেশ

ইমার্জিং কাপের ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে পা রেখেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি টাই হলেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশই। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ম্যাচটিতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে ২৩৩ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। যার জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ফলে ম্যাচটি টাই হয়েছে।

এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশের বোলারদের সামনে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান। ৩৫ রানেই তারা হারায় চার উইকেট। দলের এমন বিপর্যয়ে হাল ধরেন হারিস সোহেল ও হাম্মাদ আজম।পঞ্চম উইকেটে তারা দুজন স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৮৬ রান। মূলত এই জুটিতেই লড়াই করার পুঁজি পায় পাকিস্তান। শেষের দিকে হোসাইন তালাতের অপরাজিত ৫৭ রানের উপর ভর করে ২৩৩ রান করে।

বাংলাদেশের হয়ে সাইফ উদ্দিন তিনটি উইকেট পেয়েছেন। এছাড়া আবুল হোসেন ও মাসুম আহমেদ দুটি করে এবং নাইম হাসান একটি উইকেট পান। ২৩৪ রানের লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ২৪ রানেই দু্ই ওপেনার আজমির আহমেদ ও সাইফ হাসানের উইকেট হারিয়ে বসে। এরপর নাজমুল হাসান শান্ত এবং অধিনায়ক মুমিনুল হক দলের হাল ধরেন। এ জুটি থেকে দলে ৬৩ রান আসে। শান্ত ব্যক্তিগত ৩০ রানে বিদায় নিলেও অপর প্রান্তে স্থির থাকেন মুমিনুল।

নাসির হোসেন ক্রিজে আসলেও ৬ রান করেই ফিরেন সাজঘরে। এরপর মুমিনুল মোহাম্মদ মিথুনকে নিয়ে জুটি গড়ে তোলেন। এ জুটি স্কোরবোর্ডে ৮৩ রান যোগ করে। ৪১.৪ ওভারে মুমিনুলকে ব্যক্তিগত ৭৫ রানে সাজঘরে ফেরান হোসেইন তালাত। মুমিনুল ৮টি চার ও ১টি ছক্কার মারে ইনিংসটি সাজান।

মিথুন ৪টি চার ও ১টি ছয়ের মারে ৫৩ রান করেন। এছাড়া মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

জয়ের পথে হাঁটলেও শেষ অব্দি ১ রানের জন্য পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি টাই হয়েছে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশও ২৩৩ রান জমা করে স্কোরবোর্ডে।

পাকিস্তানের হয়ে ২টি করে উইকেট পেয়েছেন হাসান তালাত, জাফর গোহার এবং উসামা মির। গোলাম মুদাস্সার ও বিলাল আসিফ ১টি করে উইকেট পেয়েছেন।