চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমেছে

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার সংক্রমণ কমেছে। এ সময় নতুন ৮ জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণের হার ০ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এ সময় করোনায় আক্রান্ত এক রোগির মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রামের হালনাগাদ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্ট থেকে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও নগরীর আট ল্যাবে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৭৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৮ জনের মধ্যে শহরের ২ ও দুই উপজেলার ৬ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ৪ ও রাউজানে ২ জন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ লাখ ২ হাজার ২২২ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ৭৩ হাজার ৯৬৩ জন শহরের ও ২৮ হাজার ২৫৯ জন গ্রামের।
গতকাল করোনায় গ্রামের একজনের মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ৩২৩ জন হয়েছে। এতে শহরের ৭২২ ও গ্রামের ৬০১ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে। এখানে ৫৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একজন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৫১৫টি নমুনার সবগুলোর নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৯০ জনের নমুনায় শহরের একজন করোনা শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৩ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিগুলোর মধ্যে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৫০টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের একটি ও এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১৯টি নমুনায় শহর ও গ্রামের একটি করে নমুনায় ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৩৭, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৬ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে একটিও করোনায় শনাক্ত হয়নি। চট্টগ্রামের ৫ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় পাঁচজনের নেগেটিভ আসে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, এন্টিজেন টেস্ট, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার রেকর্ড হয়, শেভরনে ০ দশমিক ১৭, চমেকহা’য় ১ দশমিক ১১, সিভাসু’তে ৪, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ০ দশমিক ৬৬ ও এপিক হেলথ কেয়ারে ১০ দশমিক ৫২ এবং বিআইটিআইডি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ।