চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে নতুন ২৯ জন আক্রান্ত

বন্দর নগরী চট্রগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এ সময়ে কোনো করোনা রোগি মারা যায়নি।
জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্ট থেকে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর দশ ল্যাবে গতকাল চট্টগ্রামের ১ হাজার ৫৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নতুন ২৯ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। আক্রান্তদের মধ্যে শহরের ১৯ ও ৫ উপজেলার ১০ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারী ও সন্দ্বীপে ৩ জন করে, রাউজানে ২ জন এবং ফটিকছড়ি ও বাঁশখালীতে একজন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৪০০ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ৯১ হাজার ৯২৩ শহরের ও ৩৪ হাজার ৪৭৭ জন গ্রামের । গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কোনো রোগির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বেসরকারি এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে। এখানে ৩১২ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ২ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়।
সরকারি পরীক্ষাগারের মধ্যে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ২২৩ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ১০ আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৮৫ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৪ ও গ্রামের ২ জন সংক্রমিত মিলেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ১ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৬৮ নমুনায় সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৮ জনের নমুনায় ৩ জনের রিপোর্ট পজিটিভ হয়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ২৫ জনের এন্টিজেন টেস্টে গ্রামের ১ জন সংক্রমিত বলে জানানো হয়।
নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ২ টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ২শ’ জনের নমুনায় গ্রামের ২ জন পজিটিভ হন। এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১১৫টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একটিতে ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। ল্যাব এইডে ২টি নমুনার একটিতেও জীবাণু থাকার প্রমাণ মিলেনি। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে পরীক্ষিত ৪২ নমুনার মধ্যে একটিতে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
এদিন ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। জেলার কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৪ দশমিক ৪৮, চমেকেহা’য় ৭ দশমিক ০৬, চবিতে ৭ দশমিক ৬৯, আরটিআরএলে ৩৭ দশমিক ৫০, এন্টিজেন টেস্টে ৪, শেভরনে ০ দশমিক ৬৮, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১, এপিক হেলথ কেয়ারে ০ দশমিক ৮৭ ও এভারকেয়ার হাসপাতালে ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং সিভাসু ও ল্যাব এইডে ০ শতাংশ।