চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে নতুন ২ জন আক্রান্ত

জেলায় করোনাভাইরাসে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ০ দশমিক ২৬ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর নয় ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে গতকাল চট্টগ্রামের ৩৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন শনাক্ত ২ ভাইরাসবাহকই শহরের। আগের দিনের মতো শেষ ২৪ ঘণ্টায়ও চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় কোনো করোনা রোগির অস্তিত্ব মিলেনি। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৬ হাজার ৬১০ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৯২ হাজার ৩৮০ ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৫৩০ জন। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গতকাল শহর ও গ্রামে কোনো রোগির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৫ টি নমুনা পরীক্ষায় একটিতে ভাইরাস ধরা পড়ে। বেসরকারি এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৪ টি নমুনার একটি জীবাণুবাহক হিসেবে চিহ্নিত হয়।
গতকাল সবচেয়ে বেশি ১৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয় বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে। এ ছাড়া, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৪২, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৩৯, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৯, বেসরকারি ল্যাবরেটরি আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২২, এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতাল ল্যাবে ৭৭, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৮ ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ৩২ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য জমা হয়। নমুনা সংগ্রহের বুথে ২ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হয়। আট ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে ৩৭৬ জনের নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, ল্যাব এইড ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, আরটিআরএলে ২০ ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ২৫ শতাংশ এবং বিআইটিআইডি, চমেকহা, চবি, শেভরন, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে ০ শতাংশ।