চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ও হার কমেছে

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সংক্রমিতের সংখ্যা ও হার কমেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৬ জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ০ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এ সময়ে জেলার কোথাও করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রামে করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর এগারোটি ল্যাবে মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ৮১৯ জনের নমুনা পরীক্ষায়  নতুন ৬ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪  জন ও দুই উপজেলার ২ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারী ও পটিয়ায় একজন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯২ হাজার ৫০ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৫২১ জন। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে মঙ্গলবার  শহর ও গ্রামে কেউ মারা যায়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৪ জন ও গ্রামের ৬২৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে মঙ্গলবার সবচেয়ে বেশি ১২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের একজন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ২৮ জনের নমুনার মধ্যে শহরের একজন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে দু’টিরই ফলাফল নেগেটিভ আসে। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৫ টি নমুনার মধ্যে শহরের একটি জীবাণুবাহক বলে চিহ্নিত হয়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে গতকাল ১৯ জনের এন্টিজেন টেস্ট করানো হয়। এতে গ্রামের একজন করোনায় আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ১১৬, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৮৬, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১১২, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৮৭, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১১৩ এবং এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ছয় ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত ৫৩৩ নমুনার সবগুলোই রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। তবে এপিক হেলথ কেয়ারে ৬৪ টি নমুনায় গ্রামের একটি ও  মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৪৬ নমুনায় শহরের একটিতে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্স হাসপাতাল (সিভাসু), ল্যাব এইড এবং শাহ আমানত বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের একটি নমুনাও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৮২ শতাংশ, চমেকহা’য় ৩ দশমিক ৫৭, আরটিআরএলে ২০, এন্টিজেন টেস্টে ৫ দশমিক ২৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ১ দশমিক ৫৬ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ২ দশমিক ১৭ শতাংশ। অন্যদিকে চবি, শেভরন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে আক্রান্তের হার ০ শতাংশ নির্ণিত হয়।