চট্টগ্রামে করোনায় নতুন ১৬ জন আক্রান্ত

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন ১৬ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ০ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এ সময়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল নগরীর ১২ ল্যাব এবং ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ও এন্টিজেন টেস্টে ১ হাজার ৬৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। নতুন ১৬ ভাইরাসবাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৩ জন ও গ্রামের ৩ জন। গ্রামের ৩ জনের মধ্যে আনোয়ারার ২ জন ও পটিয়ার একজন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১ লাখ ২ হাজার ৬১৫ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৪ হাজার ২৫০ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ৩৬৫ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩২ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭২৩ জন ও গ্রামের ৬০৯ জন।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে সবচেয়ে বেশি ৪০০ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। তবে এখানে কারো পজিটিভ রেজাল্ট আসেনি। বিআইটিআইডি’তে ৩৫০ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৩ টিতে করোনার জীবাণু মিলে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ৩২ নমুনার পরীক্ষায় শহরের একটি আক্রান্ত পাওয়া যায়। বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ১৭ টি নমুনায় শহরের ৫ টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১৮২ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের একজন আক্রান্ত পাওয়া যায়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ২৭০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২ জন ও গ্রামের একজনের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১০৪ নমুনার মধ্যে শহরের একটিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়। ল্যাব এইডে ৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে একজনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৪০ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের একজন আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
এদিকে, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৮, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২২৭, এপিক হেলথ কেয়ারে ২২, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ২ ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শেভরনসহ ৬ ল্যাবে পরীক্ষিত ৬৬৮ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৮৫ শতাংশ, চমেকহা’য় ৩ দশমিক ১২, চবি’তে ০ দশমিক ৫৫, আরটিআরএল-এ ২৯ দশমিক ৪১, এন্টিজেন টেস্টে ২ দশমিক ৫০, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১ দশমিক ১১, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ০ দশমিক ৯৬, ল্যাব এইডে ৩৩ দশমিক ৩৩ এবং সিভাসু, শেভরন, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।