চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের হার বাড়ছে

চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আবারো দুই অংকে পৌঁছেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে আরো ১০ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণের হার ০ দশমিক ৭২ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
উল্লেখ্য, এর আগে চট্টগ্রামে সর্বশেষ ১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয় ১২ নভেম্বর।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর আটটি ল্যাবে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ১০ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের ৬ ও তিন উপজেলার ৪ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২ হাজার ৩৪৭ জন। এর মধ্যে শহরের ৭৪ হাজার ৪৮ ও গ্রামের ২৮ হাজার ২৯৯ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ২ জন, পটিয়া ও সাতাকানিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩০ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭২৩ ও গ্রামের ৬০৭ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৩৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ৩ জন ও গ্রামের একজন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৬৭ জনের নমুনার মধ্যে শহর ও গ্রামের একজন করে আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২টি নমুনায় গ্রামের ২টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ২৮১ এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষিত ২৯৪টি নমুনার মধ্যে একটি করে পজিটিভ চিহ্নিত হয়।
এদিকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩২, বেসরকারি ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৩৭, এপিক হেলথ কেয়ারে ৬ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। চার ল্যবরেটরিতে ৩৮৯ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ আসে।
এ দিন নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, এন্টিজেন টেস্ট, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনাও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চমেকে ২ দশমিক ৯৮, সিভাসু’তে ১৬ দশমিক ৬৬, শেভরনে ০ দশমিক ৩৫ শতাংশ, মা ও শিশু হাসপাতালে ০ দশমিক ৩৪ এবং চবি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ০ শতাংশ।