চট্টগ্রামে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্টের কাজ অনতিবিলম্বে শুরু হবে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, চট্টগ্রামে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্টের কাজ অনতিবিলম্বে শুরু হবে। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন।

ঠিকাদার নিয়োগ হয়েছে, তারা অনতিবিলম্বে কাজ শুরু করবে। আশাকরি, আমরা কিছুদিন পরে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট্রের গ্রাউন্ড ব্রেকিং ওয়ার্ক শুরু করতে পারবো। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে।’

আজ দুপুরে চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লুু’র মেজবান হলে চট্টগ্রাম ওয়াসার ‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ প্রকল্পে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ প্রকল্পে’র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

তাজুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামের সব জায়গায় সুপেয় পানি সরবরাহ হচ্ছে। আমাদের জীবন যাত্রার মান উন্নত হচ্ছে, শিল্পায়ন হচ্ছে, পানির প্রয়োজনীয়তা আরো বাড়বে। সেই কারণে আমাদের একাধিক নতুন নতুন প্রকল্প আরো গ্রহণ করতে হবে। আজকে চট্টগ্রাম ওয়াসার শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ প্রকল্পের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামবাসীর জন্য অত্যন্ত বড় একটা অর্জন হয়েছে।

‘কর্ণফুলি নদীতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ কেন?’- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘উচ্ছেদ বন্ধ নেই, এ মুহূর্তে হয়তো অন্য জায়গায় হচ্ছে। উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং উচ্ছেদ করা হবে। এ ব্যাপারে আমার মনে হয়, কোথাও শৈথল্য প্রদর্শন করা হবেনা। ড্রেজিংয়ের কাজ অব্যাহত আছে, কর্ণফুলি নদীর ড্রেজিং করার জন্য আমাদের যে সমস্ত সমস্যা ছিল সেগুলোকে নিরসন করে কার্যক্রম আরম্ভ হচ্ছে।’

‘কর্ণফুলি নদীকে নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের বিষয়ে’- সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরও বলেন, উচ্ছেদ কার্যক্রমকে সংরক্ষণ করতে হবে।

উচ্ছেদ করলাম আবার পুনরায় দখল হয়ে গেল, তাহলে এই উচ্ছেদের কোন মূল্য নেই। এটার জন্য সবাইকে উদ্যোগ নিতে হবে। মিডিয়াকে আরো সোচ্চার হতে হবে, তেমনি ভাবে জনপ্রতিনিধিদের সেখানে ভূমিকা রাখতে হবে। সরকারি কর্মকর্তাদের ও স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ প্রকল্পের অধীনে রয়েছে দৈনিক ১৫ কোটি লিটার ক্ষমতা সম্পন্ন ইনটেক নির্মাণ, দৈনিক ১৪ কোটি ৩০ লাখ লিটার উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন পানি শোধনাগার নির্মাণ, ২ কোটি ৪৮ লাখ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন জলাধার নির্মাণ ও ৩০ লাখ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন সুউচ্চ জলাধার নির্মাণ। এছাড়া রয়েছে ৩.৬৯ কিলোমিটার কনভেয়েন্স পাইপলাইন স্থাপন, ৩১.৬৮ কিলোমিটার ট্রান্সমিশন পাইপলাইন স্থাপন, ২টি স্লাজ ট্যাংক নির্মাণ, অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন ও ৫৯টি ডিএমগ নির্মাণ ও ৭০০ কি.মি. ডিস্ট্রিবিউশন পাইপলাইন স্থাপন।

জাইকা, বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম ওয়াসার যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা। পানি শোধনাগার প্রকল্প ২-এর আওতায় রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা এলাকায় কর্ণফুলি নদী থেকে পানি উত্তোলন করে শহরে তা সরবরাহ করা হবে। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান