চলে গেলেন স্টিফেন হকিং

না ফেরার দেশে চলে গেলেন কিংবদন্তী পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং।তাঁর পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়, বুধবার তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিলো ৭৬ বছর। বিবিসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিশিষ্ট ইংরেজ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতজ্ঞ হিসেবে বিশ্বের সর্বত্র পরিচিত ব্যক্তিত্ব। তাঁকে বিশ্বের সমকালীন তাত্ত্বিক পদার্থবিদদের মধ্যে অন্যতম হিসাবে বিবেচনা করা হয়। হকিং ক্রেমবিজের লুসাকিয়াং অধ্যাপক।স্যার নিউটনও একসময় এই পদে ছিলেন। ১ অক্টোবর, ২০০৯ তারিখে তিনি অবসর নেন।

চলতি বছরই ৭৬তম জন্মদিন পালন করেছিলেন এই বিজ্ঞানী। বিরল ‘মোটর নিউরন’ রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। পৃথিবীর অস্তিত্ব ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন এই পদার্থ বিজ্ঞানী।

হকিং রেখে গেছেন তিন সন্তান লুসি, রবার্ট এবং টিমকে।

বাবার মৃত্যুর খবরে তারা জানায়, আমাদের প্রিয় বাবা আজ মারা গেছেন। তিনি শুধু একজন বড় বিজ্ঞানীই ছিলেন না তিনি ছিলেন একজন অসাধারণ মানুষ, যার কাজ বহু বছর বেঁচে থাকবে। শুধু বিজ্ঞানী হিসেবেই নয়, প্রতিবন্ধকতাকে পেরিয়ে কিভাবে সেরা হওয়া যায় তিনি ছিলেন তার অন্যতম উদাহরণ।

১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল তার বই ‘আ ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম। মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত একজন ব্যক্তি সাধারণত রোগ ধরা পড়ার চার বছরের বেশি বাঁচেন না। হকিংয়ের এই রোগ ধরা পড়েছিল ১৯৬৩ সালে। অর্থাৎ তারপরও ৫৫ বছর বেঁচে থাকা মিরাকলের চেয়ে কম কিছু নয়। তবে আরও আশ্চর্য তার গবেষণা।

বিরল এই রোগে আক্রান্ত হয়েও যেভাবে তিনি বিশ্বের সৃষ্টি সন্ধানে নিয়োজিত ছিলেন তা পুরো বিশ্বের কাছেই বড় চমক। ব্রিটিশ এই বিজ্ঞানী কৃষ্ণ গহ্বর এবং আপেক্ষিকতা তত্ত্ব নিয়ে তার কাজের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত।

এমআর/