চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি কারাগারে

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা মামলায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে গাজীপুর আদালতে নিয়ে মাহিয়া মাহির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালতের বিচারক রিমান্ড মঞ্জুর না করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ  দেন।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিমানবন্দর এলাকা  থেকে  মাহিয়া মাহিকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। একই মামলার আসামি তাঁর স্বামী রকিব সরকার পলাতক রয়েছে।
এর আগে শুক্রবার রাতে গাজীপুরের বাসন থানায় মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকারের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে।
এছাড়া একই রাতে মারধর, ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির অভিযোগে অপর একটি মামলা দায়ের করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন। গত শুক্রবার রাতে মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকার জমি ও শোরুম নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে ও গাজীপুর মহানগর পুলিশকে জড়িয়ে ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে মক্কা থেকে ফেসবুক লাইভে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। অন্যদিকে, ইসমাইল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে মারধর, কারখানা ভাঙচুর ও জমি দখলের অভিযোগ তুলে ধরেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মো. আবু তোরাব মোহাম্মদ শামসুদ্দিন জানান, শুক্রবার রাতে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকারের নামে গাজীপুর মহানগরের বাসন থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফেসবুক লাইভে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামসহ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন মারধর, ভাঙচুর, চাঁদা দাবি ও জমি দখলের অভিযোগে ২৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দুটোর বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফেসবুক লাইভে মাহিয়া মাহির অভিযোগের বিষয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহি পুলিশের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ করেছেন, মিথ্যা বলে মানুষের সহানুভূতি নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। যাদের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাদেরও আমি চিনি না।’