জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে ঈদের আগে লকডাউন শিথিলের চিন্তা ভাবনা করছে সরকার : সেতুমন্ত্রী

জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সরকার ঈদের আগে লকডাউন শিথিলের চিন্তা ভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সরকার ঈদের আগে লকডাউন শিথিলেরও চিন্তা-ভাবনা করছে। ঈদের সময় ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের জন্য লকডাউন শিথিল হতে পারে।’
সেতুমন্ত্রী আজ সোমবার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঈদের আগে লকডাউন শিথিল করা হবে জীবন ও জীবিকার এবং ঈদ পূর্ববর্তী কেনাকাটার জন্য। মানুষের ঈদের সময় ঘরমুখী যাতায়াতের জন্য লকডাউন শিথিল হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই চিন্তা ভাবনা করছেন। সবাইকে ধৈর্য্য ধরতে হবে, করোনা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটা কেউ জানে না।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সরকার সারাদেশে আরো এক সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানোর সক্রিয় চিন্তা করছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় এখন সারাদেশে লকডাউন চলছে। এই লকডাউন এক সপ্তাহ শেষ হতে চলছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর ব্যাপারে সরকার সক্রিয় চিন্তা-ভাবনা করছে। তবে ঈদের আগে লকডাউন শিথিল করা হবে।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে অনেকেই জীবিকার কঠিন লড়াইয়ের মধ্যে পড়ে রয়েছেন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ, তারা কষ্ট পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী পরিবহন শ্রমিকসহ বেকার কর্মহীন শ্রমিকদের আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভাসমান মানুষদেরও ত্রাণ দেওয়া হবে। জেলা প্রশাসন এসব দেখাশুনা করবে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে এই দুর্যোগের সময় মানুষের পাশে থাকতে বলা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমানে করোনা মোকাবিলায় আমাদের আত্মতৃপ্তির কোনো কারণ নেই। যেকোনো সময় এই সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেশে করোনা সংক্রমণের নতুন নতুন ভয়ংকর মাত্রা যুক্ত হচ্ছে। আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
এর আগে ওবায়দুল কাদের সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের রংপুর জোনের চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। রংপুর সড়ক ও জনপথ ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ঢাকা থেকে যুক্ত ছিলেন।
সড়ক ও জনপদের প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তা আমাদের মেনে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, নিম্মমানের কাজ হলে ঠিকাদার, ইঞ্জিনিয়ারসহ সংশ্লিষ্টদের এর দায় দায়িত্ব নিতে হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। এই উন্নয়ন টেকসই হতে হবে।
এদিকে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
এসময় তিনি বলেন, কৃষি ও কৃষকের কল্যাণে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওবায়দুল কাদের কৃষক ও কৃষাণী সমাজের পাশে থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে কাজ করার জন্য কৃষক লীগের সকল নেতাকর্মীদের আহবান জানান।