জয়পুরহাটে পাটের ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা

সোনালী আঁশ নামে খ্যাত পাটের ভালো দাম পেয়ে এবার খুশি জয়পুরহাটের পাটচাষিরা। পুকুরে জাগ দেওয়া পাট ধোয়া ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি ২০২১-২২ ফসল উৎপাদন মৌসুমে জেলায় ২ হাজার ৯৮৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হলেও চাষ হয়েছে ৩ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১৩ হেক্টর বেশি। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪০ হাজার বেল পাট। সরকারের পাট জাত দ্রব্য ব্যবহার বাধ্যতা মূলক করাসহ পাটের মূল্য বৃদ্ধি, জ্বালানি হিসেবে পাট কাটিকে ব্যবহার ও পাট চাষে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জেলার কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। পাট চাষ সফল করতে কৃষি বিভাগ হাতে- কলমে চাষিদের প্রশিক্ষণ, উন্নত জাতের পাট বীজ সরবরাহ এবং প্রয়োজনীয় সারের মজুদ সন্তোষজনক পর্যায়ে রাখা সহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করে।

২০২১-২০২২ খরিপ-১ মৌসুমে জেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৯৮৫ হেক্টর জমি। চাষ হয়েছে ৩ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১৩ হেক্টর বেশি। এর মধ্যে দেশী জাতের পাট রয়েছে ৩০ হেক্টর ও তোষা জাতের পাট রয়েছে ৩ হাজার ৮৫ হেক্টর। এতে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪০ হাজার বেল পাট। গত বছর পাট প্রতিমণ বিক্রি হয় প্রকার ভেদে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫শ’ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে বাজারে পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় পাটের চাহিদা অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। যার ফলে এবার বাজারে ওঠা পাট বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫শ’ থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা মণ পর্যন্ত বলে জানান, পাট ব্যবসায়ী দীলিপ সেন। মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি, পাটের নানা বিধ ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়া ও পাটের ভালো দাম পাওয়ায় দিন দিন জেলায় পাটের চাষ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ স ম মেফতাহুল বারি জানান, চলতি ২০২১-২২ খরিপ-১ ফসল উৎপাদন মৌসুমে জেলায় ৩ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এবার বৃষ্টিপাত একটু দেরিতে হওয়ায় পাট চাষও দেরি হয়েছে। চলতি মৌসুমে ৪০ হাজার বেল পাট উৎপাদন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তথ‌্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান