জয়পুরহাটে ব্রকলী চাষে সফল চাষী স্বপন চন্দ্র

অধিক খাদ্য গুণাগুণ সমৃদ্ধ ব্রকলী চাষ করে সফলতা অর্জন করেছে সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়নের বর্মনপাড়ায় চাষী স্বপন চন্দ্র। সরেজমিন ভাদসার দূর্গাদহ বাজারের বর্মনপাড়া এলাকা ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দরিদ্র কৃষক স্বপন চন্দ্র ১৭ শতাংশ জমিতে এবার ব্রকলী চাষ করেন । এ ব্রকলী চাষে কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করছে স্থানিয় বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাকস ফাউন্ডেশন। ব্রকলী দেখতে ফুল কপির মতো। তবে ব্রকলীর পাতা ও ফুল ফলের রং সবুজ। চাষ পদ্ধতি বাধা বা ফুল কপির মতো। ইতোমধ্যে বাজারে ২১ হাজার টাকার ব্রকলী বিক্রি করেছে স্বপন চন্দ্র।

জমিতে থাকা ব্রকলী ৮০ হাজার টাকা বিক্রি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন স্বপন চন্দ্র। ব্রকলীতে আইরন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, প্রোটিন ও হজমশক্তি বৃদ্ধিসহ নানা খাদ্য গুণাগুণ রয়েছে। বিশেষ করে চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে এর প্রচলন ও চাহিদা বেশি। তুলনামূলক বাজারে ফুল কপি বা বাধা কপির চেয়ে, ব্রকলী বেশি দামে বিক্রি হয়ে থাকে। ফলে ব্রকলী চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বেশি। ব্রকলী চাষী স্বপন চন্দ্র জানান, ১৭ শতাংশ জমিতে তিন হাজার ৪শ টি ব্রকলীর চারা রোপণ করেছেন। তিন মাস মেয়াদী এ ব্রকলী চাষে এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার টাকা। বর্তমান বাজারে একেকটি ব্রকলী ৩০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি। বিষমুক্ত ভাবে এটি চাষ করা হচ্ছে। পোকা মাকড় দমনের জন্য কীটনাশক ব্যবহারের পরিবর্তে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করা হয়েছে।

ব্রকলী চাষ লাভজনক হওয়ায় এলাকার অনেক কৃষক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। স্থানিয় বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা ’জাকস ফাউন্ডেশন” বীজ সরবরাহ ও আর্থিক সহযোগিতায় ওই ব্রকলীর চাষ করা হচ্ছে। বেলে দো’আশ মাটিতে ব্রকলীর ফলন ভালো হয় এবং অধিক খাদ্য গুণাগুণ সমৃদ্ধ ব্রকলীর চাষ কৃষকদের জন্য লাভজনক বলে উল্লেখ করেন জাকস ফাউন্ডেশনের দূর্গাদহ শাখার কৃষি কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন। জাকস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো: নূরুল আমিন বলেন, কৃষি ইউনিটের অধিন উচ্চ ফলনশীল জাতের বিভিন্ন ফসল চাষে কৃষকদের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান