টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন প্রয়োজন : আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক

ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন করতে হলে এখন থেকেই তামাকের ব্যবহার কমানোর জোরালো উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য দরকার শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও তার কঠোর বাস্তবায়ন। বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কিছু দুর্বলতা থাকার কারণে তামাক ব্যবহার হ্রাসে এটি অধিকতর কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারছে না।

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা এবং এবিষয়ে করণীয় সম্পর্কে তুলে ধরতে তামাকবিরোধী গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা’র (প্রগতির জন্য জ্ঞান) একটি প্রতিনিধি দল আজ অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এর সাথে সাক্ষাত করেন।

বাসস চেয়ারম্যান এসময় বলেন, “ জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ যে কাজ অব্যাহত রেখেছে তাতে আমি আশাবাদী। তামাকের ন্যায় বিষাক্ত দ্রব্য গ্রহণ থেকে জনগণকে দূরে রাখা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৩ অর্জনে বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কিছু সংশোধন ও সংযোজন প্রয়োজন বলে মনে করি। ”
বিশেষ করে করোনা সংকটের এই কঠিন সময়ে জনস্বাস্থ্য,পরিবেশ বিশুদ্ধ রাখার স্বার্থেই তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের সাথে প্রজ্ঞাসহ অন্যান্য সংগঠন কর্তৃক সংশ্লিষ্ট আইনের সংশোধনী প্রস্তবসমূহ অতি দ্রুতততার সাথে বিবেচনা এখন সময়ের দাবি বলেও তিনি মনে করেন।

আরেফিন সিদ্দিক আরো বলেন, ‘যে কোন আইনের কঠোর প্রয়োগের উপর যেমন অভিষ্ট লক্ষ্য মাত্রা নির্ভর করে,ঠিক তেমনি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সময়োচিত সংশোধন ও সংযোজন করে তা কঠোরভাবে প্রয়োগের দিকে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

মত বিনিময়ের সময় প্রজ্ঞা’র পক্ষ থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের বিষয়সমূহ যেমন, গণপরিবহন ও রেস্তোঁরাসমূহে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা, বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা , তামাক কোম্পানির ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি’ বা সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ কর এবং . বিড়ি-সিগারেটের সিঙ্গেল স্টিক বা খুচরা শলাকা এবং প্যাকেটবিহীন জর্দা-গুল বিক্রয় নিষিদ্ধ করাসহ . ই-সিগারেটের মতো ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টসমূহ আমদানি ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধ করা; সর্ম্পকে আলোকপাত করা হয়।
প্রতিনিধি দলে প্রজ্ঞা’র পরিচালক মনোয়ার হোসেন, কর্মসূচি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।