তথ্য গোপনের মামলায় তাহমিদ খালাস

পুলিশকে অসহযোগিতার অভিযোগে করা মামলায় তাহমিদ হাসিব খানকে খালাস দিয়েছেন আদালত। গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনা তদন্তে পুলিশকে অসহযোগিতার অভিযোগ ছিল হাতমিদের বিরুদ্ধে।

ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মাহমুদুল হাসান রবিবার (১৬ এপ্রিল) এ রায় ঘোষণা করেন বলে তার আইনজীবী মতিউর রহমান জানান।

তিনি বলেন, ‘তাহমিদের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ প্রমাণিত হয়নি। তাই বিচারক তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।’

গতবছর ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জন নিহত হওয়ার পর সকালে সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া ১৩ জনের মধ্যে ছিলেন তাহমিদ ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজাউল করিম।

এ ঘটনায় উদ্ধারদের জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ সবাইকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেও সে সময় তাহমিদ ও হাসনাত বাসায় ফেরেননি বলে তাদের পরিবার জানায়।

এরপর গতবছর ৩ অগাস্ট তাদের দুজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ।

জঙ্গিদের সঙ্গে তাহমিদের ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হলেও তাহমিদকে ১৪ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানায়, গুলশান হামলার ঘটনায় তার কোনো সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া যায়নি।

কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাহমিদ গুলশান হামলার একদিন আগে দেশে ফেরেন। ওই দিন ইফতারের পর বন্ধুদের সঙ্গে তিনি ওই ক্যাফেতে গিয়েছিলেন বলে পরিবারের ভাষ্য।

সন্দেহভাজন হিসেবে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও ১৭৬ ধারায় পুলিশকে অসহযোগিতা ও তথ্য দিতে অস্বীকৃতির ‘নন প্রসিকিউশন’ অভিযোগ আনা হয় তাহমিদের বিরুদ্ধে।

ওই হামলা সম্পর্কে তথ্য জানার জন্য পুলিশ বারবার নোটিশ দিলেও যোগাযোগ না করায় তার বিরুদ্ধে রাজধানীর ভাটারা থানার এ মামলা করা হয়।

আফতাব বহুমুখী ফার্মসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলে রহিম খান শাহরিয়ারের ছেলে তাহমিদ এ মামলায় জামিনে রয়েছেন।

গত ১৪ মার্চ আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে সুবিচার চান তিনি। ২১ মার্চ এ মামলায় যুক্তিতর্কের শুনানি শেষ হয়।