দিনটা টাইগারদেরই, দিন শেষের আক্ষেপ সৌম্য

দিনটা নিজেদের চাওয়ার মতো হলেও হতে পারত যদি না বিলাসিতা করে ওপেনার সৌম্য সরকার নিজের উইকেটটা বিলিয়ে দিয়ে আসতেন। কিন্তু শেষ বেলায় সৌম্যর  গ্ল্যামার শটে অজিদের থেকে কিছুটা হলেও পিছিয়ে টাইগাররা।

দিনের দ্বিতীয় দিনের শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন তরুণ মেহেদী হাসান মিরাজ। যেখানে প্রথম দিন শেষে সেরা পারফরমার সাকিব আল হাসান বলেছিলেন বাংলাদেশের জন্য গলার কাটা হয়ে দাঁড়াতে পারে অজি অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ, সেখানে মিরাজ নামিয়ে দিয়েছিলেন দলের সেই কাটা। সাজঘরে ফিরেন মাত্র ৮ রানে।

হ্যান্ডসকম্বকে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন ম্যাট রেনশো। তাইজুলের বলে ভাঙে রেনশো-হ্যান্ডসকম্বের ৫৮ রানের জুটি। তবে ব্যক্তিগত ৪৫ রান করা রেনশো সাজঘরে ফেরান সাকিব। বেশিদুর এগুতে পারেননি ম্যাক্সওয়েলও। ২৩ রানে সাকিবের বলে মারতে গিয়ে কিপারের হাতে তালুবন্দি হয় বল।

তবে বরাবরের মতো টেইল-এন্ডারদের কাছে ভুগতে হয় বাংলাদেশকে। অ্যাস্টন অ্যাগার ও প্যাট কামিন্স মিলে গড়েন ৪৯ রানের জুটি। তবে চা বিরতির পর ২৫ রান করা কামিন্সকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান সাকিব আল হাসান।

অন্যদিকে সাকিব আল হাসান ক্রিকেট ইতিহাসের চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট খেলুড়ে সকল দেশের বিপক্ষে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন। তবে এটি ছুঁতে বেশি দেরি হয়নি সাকিবের। হ্যাজলউডকে ফিরিয়ে গড়েন সেই রেকর্ড। মূলত প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে বল ও ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দেন সাকিবই।

মিরাজ, সাকিবের স্পিন ঘূর্ণিতে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস থামে ২১৭ রানে। বাংলাদেশের হয়ে পাঁচ উইকেট পান সাকিব এবং ৩ উইকেট লাভ করেন মেহেদী হাসান। অজিদের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান করেন ওপেনার রেনশো। তারপরেই রয়েছেন হ্যান্ডসকম্ব।

৪৩ রান এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে নিজেদের স্বভাবসুলভ ইনিংস খেলতে থাকেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। তবে শেষ বেলায় সৌম্যের আউট যেন আক্ষেপ বাড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ দলের।

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ

বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস) ২৬০-১০

সাকিব ৮৪, তামিম ৭১ঃ অ্যাগার ৩-৪৬

অস্ট্রেলিয়া (প্রথম ইনিংস) ২১৭-১০

রেনশো ৪৫, হ্যান্ডসকম্ব ৩৩ঃ সাকিব ৫-৬৮

বাংলাদেশ (দ্বিতীয় ইনিংস) ৪৫-১

তামিম ৩০*, সৌম্য ১৫ঃ অ্যাগার ১-৯

দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৮ রানে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।

আজকের বাজার: সালি / ২৮ আগস্ট ২০১৭