দিনে গড়ে ৮৯৪টি নতুন মোটরসাইকলে নামে রাস্তায়

২০১৭ সালের প্রথম তিন মাসে দেশের রাস্তায় ৮০ হাজার ৪৬৫টি মোটরসাইকেল নেমেছে। সে হিসবে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে প্রতিদিন গড়ে ৮৯৪টি করে নিবন্ধনকৃত মোটরসাইকেল রাস্তায় নেমেছে। তবে ২০১৬ সালের প্রতিদিনের গড়ের তুলনায় এই সংখ্যা কম। ওই বছর প্রতিদিন গড়ে ৯০৯টি করে মোটরসাইকেল রাস্তায় নামে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সর্বশেষ জরিপে এমন তথ্য দেখা গেছে। বিআরটিএ বলছে, এখন মোটরসাইকেল উৎপাদন ও যন্ত্রপাতি সংযোগ দেশের ভেতরে হওয়ার কারণে তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। ফলে অনেকেই এখন সহজেই একটি মোটরসাইকেলের মালিক হতে পারছেন। বিআরটিএ’র তথ্যমতে ২০১৬ সালে মোট ৩ লাখ ৩০ হাজার নিবন্ধনকৃদ মোটরসাইকেল রাস্তায় নেমেছে। যা তার আগের বছর ২০১৫ সালের তুলনায় প্রায় ৩৮ শতাংশ বেশি। তবে এই কারণে রাস্তাঘাটে আগের তুলনায় জঞ্জাল আর যানজট বেড়েছে বলেও মনে করছে বিআরটিএ।

বিআরটিএর জরিপে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মোটরসাইকেল মানুষ তার দৈনন্দিন যোগাযোগের উদ্দেশ্যে কিনলেও তরুণদের বড় একটা অংশ এবং রাজনৈতিক কর্মীরাও এখন মোটরসাইকেলের মালিক। উল্লেখ, সম্প্রতি কর ছাড়ের সুযোগ নিয়ে মোটরসাইকেলের দাম কমিয়েছে সংযোজনকারী কোম্পানিগুলো। অন্যদিকে স্বস্তি এসেছে নিবন্ধন খরচেও। তাই ২০১৬ সালের ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালেও বিক্রিতে ভালো প্রবৃদ্ধি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিযুক্ত অবস্থায় (সিকেডি) মোটরসাইকেল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করেন। এতে সিসিভেদে (ইঞ্জিনের ক্ষমতা) মোটরসাইকেলের দাম ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা কমেছে। আমদানিতে কর ছাড়ের কারণে মোটরসাইকেলের দাম কমেছে। বিক্রি বৃদ্ধির এটি সবচেয়ে বড় কারণ। আর নিবন্ধন ফি কিস্তিতে দেওয়ার ব্যবস্থা করায় বিক্রি বেড়েছে।

আমদানি করা মোটরসাইকেল বেশির ভাগ ভারত থেকে ও কিছু চীন থেকে আসে। দেশীয় কোম্পানিগুলো ইঞ্জিন আমদানি করে বাকি সব উপকরণ দেশে উৎপাদন করে। উৎপাদনকারীরা চায় আমদানি শুল্ক বাড়ানো হোক। তাহলে দেশের উৎপাদিত মোটরসাইকেলই কম দামে পাবে গ্রাহকরা।