দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপিয়ান সুপার কাপ রিয়ালের

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ২-১ গোলে হারিয়ে যোগ্য দল হিসেবে ইউরোপিয়ান সুপার কাপ জিতে নিল রিয়াল। আগের মৌসুমে টানা গোলের রেকর্ড ৬৫ পর্যন্ত নিয়েছিল জিদানের দল। সেটা আজ ৬৬তে নিতে কাসেমিরোর লাগল ২৪ মিনিট। কারভাহালের বুদ্ধিদীপ্ত এক ক্রসে স্তব্ধ হয়ে গেল ইউনাইটেড রক্ষণ। ফাঁকায় বেরিয়ে যাওয়া ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের ডাইভ ডে হেয়াকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল জালে।

রিয়াল অবশ্য এগিয়ে যেতে পারত ১৬ মিনিটেই। কর্নার থেকে পাওয়া বলে ওই কাসেমিরোর হেড গিয়ে ক্রসবারে না লাগলে তখনই এগিয়ে যেত চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ীরা। সে বল ফিরে আসতেই পাল্টা আক্রমণে ইউনাইটেডও সুযোগ সৃষ্টি করেছিল গোলের। কিন্তু পল দ্রগবার স্বার্থপর সিদ্ধান্তে সে সুযোগ জলে গেছে।

দ্রগবা যেখানে হতাশ করেছেন, রিয়াল মিডফিল্ড সেখানে ত্রাস ছড়িয়েছে। লুকা মডরিচ তো যখনই সুযোগ পেয়েছেন ইউনাইটেড ডিফেন্সকে নাচিয়েছেন। তবে ইউনাইটেডের দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিয়েছেন ইসকো। এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডারকে আটকাতে প্রথমার্ধেই ৬ বার ফাউল করতে হয়েছে ইউনাইটেডের খেলোয়াড়দের!

স্কোপিয়ের ৩৫ ডিগ্রির উত্তাপের কারণে তাই ৩০ মিনিটেই তিন মিনিটের বিরতিটা স্বস্তি হয়ে এসেছিল ইউনাইটেডের কাছে। প্রথমার্ধের বাকি সময়গুলোতেও রোমেলু লুকাকুর একটি দুর্বল হেড ছাড়া বলার মতো কিছু করতে পারেনি হোসে মরিনহোর দল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও ইসকো-দুঃস্বপ্ন। বাঁ প্রান্তে বেনজেমার দারুণ পায়ের কাজের পর বল গেল ইসকোর কাছে। সেটা বেলের পা ঘুরে আবারও ইসকো। ৫৩ মিনিটে ইসকোর গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল রিয়াল।

পরের মিনিটেই একটি গোল শোধ দিতে পারল ইউনাইটেড। দ্রগবার হেড কেইলর নাভাস ঠেকিয়ে দিলেও সেটা পড়ে ফাঁকায় দাঁড়ানো লুকাকুর কাছে। ফাঁকায় দাঁড়ানো লুকাকু কীভাবে যেন জাল মিস করলেন!

৬২ মিনিটে অবশ্য আর সে ভুল করেননি লুকাকু। নেমানজা মাতিচের জোরালো শট নাভাসের হাতে লেগে আবারও লুকাকুর কাছে। ম্যাচে ফিরে ইউনাইটেড (২-১)। অবশ্য ৬০ মিনিটে বেলের শট আবারও বারে না লাগলে ইউনাইটেড ম্যাচ থেকে ছিটকে যেত এর আগেই। ৬১ মিনিটেই আরেকটি সুযোগ হারায় রিয়াল।

তবে ইউনাইটেডও জবাব দিচ্ছিল ভালো। বদলি নামা রাশফোর্ড বাঁ প্রান্তে আতঙ্ক ছড়াচ্ছিলেন ভালোভাবেই। কিন্তু গোলের সুযোগ সৃষ্টিতে রিয়ালই এগিয়ে ছিল। ৮০ মিনিটে রাশফোর্ডের নিশ্চিত গোলটা যখন বাঁচিয়ে দিলেন নাভাস, তখনই বোঝা গিয়েছে আজ রিয়ালের জয় কেউ আটকাতে পারছে না। ৯২ মিনিটে এসেনসিওর শটটা ঠেকিয়ে ডে হেয়া ব্যবধানটা ২-১ এই রেখেছেন।

শেষের দিকে বদলি হিসেবে মাঠে নেমে সি আর সেভেন রোনল্ডা দর্শকদের আনন্দ দেয়া ছাড়া তেমন কিছু করতে পারেননি।৭ মিনিটের অতিরিক্ত সময়েও টানা দ্বিতীয়বারের মতো জিদানের সুপার কাপ জিতে নেওয়া আটকাতে পারেনি ইউনাইটেড।

আজকের বাজার: সালি / ৯ আগস্ট ২০১৭