ধর্ষণের হুমকির বিচারের দাবিতে বদরুন্নেসার শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া নেয়া এবং সহপাঠীকে বাসের হেলপার কর্তৃক ধর্ষণের হুমকির বিচারের দাবিতে রাজধানীর বকসীবাজার মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের সাথে যোগ দেন আশেপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী।

রবিবার সকালে বদরুন্নেসা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বের হওয়ার সময় পুলিশ তাদেরকে কলেজের গেটের সামনেই আটকে দেয়। পরে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও সেখানে জড়ো হয়।

এক পর্যায়ে কলেজের গেট খুলে দেয়া হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বকসীবাজার মোড়ে গিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এতে চানখাঁরপুল থেকে বকসীবাজার ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এবং বুয়েট অভিমুখী রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শনিবার রাজধানীর শনিরআখড়ায় ঠিকানা পরিবহনের একটি বাসে বদরুন্নেসা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী অর্ধেক ভাড়া দিতে চাইলে তাকে ধর্ষণের হুমকি দেন বাসের হেলপার।

ধর্ষণের হুমকি দেয়া বাসের হেলপারকে গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক অবরোধ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

রবিবার বেলা ১২টায় শিক্ষার্থীরা বকসীবাজার মোড়ের অবরোধ ছাড়ে। ফলে প্রায় দুই ঘণ্টা পর ওই রাস্তায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে তাসনুম তাবাসসুম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এ সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত হেলপারকে গ্রেপ্তার করতে হবে। তা না হলে আমরা আমাদের বোনের বিচার নিশ্চিতে আবারও আন্দোলনে নামব।

আন্দোলনকারীরা শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিত করাসহ আরও কয়েকটি দাবি জানায়। সেগুলো হলো- বাসে শিক্ষার্থীদের সাথে হয়রানিমূলক আচরণ বন্ধ করা, কলেজের সামনে সব বাসকে থামা, মহিলা আসন নিশ্চিত করা, সম্মানের সাথে বাসে ওঠার ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।

এছাড়াও রয়েছে- ধর্ষণের হুমকি দেয়া বাস কর্মচারীর শাস্তি নিশ্চিত করা, রায়েরবাগ, শনির আখড়া, কাজলা, সাইনবোর্ডসহ প্রত্যেক বাস স্টপে সব ধরনের বাস থামা ও শিক্ষার্থীদের তোলা এবং শিক্ষার্থীদের সাথে উগ্র ব্যবহার না করা।

ঘটনাস্থলে থাকা লালবাগ জোনের এডিসি (ট্রাফিক) কুদরত এ খুদা জানান, তারা বাস মালিক ও কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠকে বসবেন। অভিযোগটি তারা খতিয়ে দেখবেন। শিক্ষার্থীরা বাসের নাম বললেও নাম্বার বলতে পারেনি। প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে কোন বাসে এ ঘটনা ঘটেছে আমরা খুঁজে বের করব।