‘নিউজিল্যান্ডে ওষুধ ও চামড়া রফতানি বৃদ্ধি করা হবে’-বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডে ওষুধ ও চামড়া রফতানি বৃদ্ধি করা হবে। সেখানে বাংলাদেশের এসব পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশকে সব পণ্য রফতানিতে ডিউটি ফ্রি সুবিধা দিয়েছে।’

বুধবার বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত গ্রাহাম মার্টনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড থেকে দুধ আমদানির মাধ্যমে পণ্য তৈরি করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রফতানি করে আসছে।

মন্ত্রী বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য খুব বেশি নয়। গতবছর বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডে রফতানি করেছে ৭৩ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। একই সময়ে আমদানি করেছে ১৫০ দশমিক ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

তিনি বলেন, এ মুহূর্তে দুই দেশের বাণিজ্য নিউজিল্যান্ডের পক্ষে হলেও বাংলাদেশের রফতানি বৃদ্ধির সুযোগ এসেছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য ট্রিপস চুক্তির মেয়াদ ১৭ বছর বৃদ্ধি করেছে। এ সুযোগ বাংলাদেশ কাজে লাগাতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের ১২৩টি দেশে ওষুধ রফতানি করছে। বাংলাদেশের ওষুধের মান বেশ ভালো। বাংলাদেশের বিশ্বমানের ওষুধ তুলনামূলক কম মূল্যে সরবরাহ করছে। নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের তৈরি ওষুধের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। চলতি সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা মোতাবেক যেসব পণ্য রফতানি বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, ওষুধ তার মধ্যে অন্যতম বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ওষুধ রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাজার হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি খুবই ভালো। গত ৫ বছরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিবেশ বেশ ভালো।

রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের অনেক পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে নিউজিল্যান্ডে। বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরো বৃদ্ধি করা সম্ভব।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) জহির উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সচিব (এফটিএ) মুনির চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা বলা হয়।

সুত্র: বাসস