নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে উৎসে কর প্রত্যাহার চায় আইসিএমএবি

আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সব ধরনের কৃষিজাত ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যকে উৎসে কর কর্তনের আওতা বহির্ভূত রাখার প্রস্তাব দিয়েছে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)। পাশাপাশি ফেসবুক, গুগলসহ অন্যান্য জনপ্রিয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের আয়কে করের আওতায় আনার জন্য স্থানীয় এজেন্ট নিয়োগের বিধান প্রবর্তনের প্রস্তাব করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনের সভাকক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব প্রস্তাব পেশ করে প্রতিষ্ঠানটি। এদিন আইসিএমএবি ছাড়াও আইসিএবি, বাংলাদেশ ভ্যাট প্রফেশনাল ফোরাম, আরনেস্ট অ্যান্ড ইয়ং অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেস লিমিটেডের নেতৃবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেন। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সভায় সভাপতিত্ব করেন।
ডিজিটাল ইকোনমির আয়ের উপর কর আরোপ প্রসঙ্গে আইসিএমএবি প্রেসিডেন্ট মো. আবদুর রহমান খান বলেন, আয়কর আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে স্থায়ী অফিস না থাকলে কোনো বিদেশী কোম্পানিকে কর পরিশোধের আওতায় আনার বিধান নেই। তবে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে স্থায়ী স্থাপনা না রেখে বিদেশি কোম্পানিগুলো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবসা করে যাচ্ছে। ভ্যাট আইনের মতো আয়কর আইনে স্থানীয় এজেন্ট নিয়োগের বিধান করা হলে বিদেশী কোম্পানি স্থানীয় এজেন্ট রাখবে এবং তা তাদের বাংলাদেশের স্থানীয় স্থাপনা বলে বিবেচিত হবে। এতে তারা বাংলাদেশে অর্জিত আয়ের উপর কর প্রদানে বাধ্য থাকবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উপর উৎসে কর প্রত্যাহারের বিষয়ে তিনি বলেন, চাল, ডাল, আটা, ময়দাসহ সব ধরনের কৃষিজাত পণ্যে ২ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তনের বিধান রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হলে তা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
এদিকে আইসিএসবি ব্যক্তি করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৭ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়নের কাজ চলছে। তাড়াহুড়ো করে কোনো নীতি জনগণের ওপর চাপিয়ে না দিয়ে বরং ধীরে ধীরে সহনীয় পরিবর্তন আনায় বিশ্বাস করে এনবিআর।