নেপালি পর্বতারোহীর ২৭ তম এভারেস্ট বিজয়

নেপালি পর্বতারোহী কামি রিতা শেরপা রেকর্ড ২৭ বার মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন। ২৭ তম অভিযানে তিনি বুধবার বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত চূড়া এভারেস্টের শীর্ষে পৌঁছেছেন।
তার অভিযাত্রী সংগঠক সেভেন সামিট ট্রেকসের মিংমা শেরপা এএফপিকে বলেন, ‘একজন ভিয়েতনামী পর্বতারোহীকে পথ দেখিয়ে আজ সকালে তিনি সফলভাবে চূড়ায় পৌঁছেছেন।’
২০১৮ সাল থেকে ৫৩ বছর বয়সী কামি রিতা শেরপা এই খেতাবটি ধরে রেখেছিলেন। তখন তিনি ২২ তম বারের জন্য এভারেস্টে আরোহণ করেছিলেন। তিনি আগের অন্য দুই শেরপার সঙ্গে পর্বতারোহীর এই রেকর্ড শেয়ার করেছিলেন। তারা দু’জনই অবসর নিয়েছেন।
কিন্তু রোববার আরেক পর্বতারোহী, ৪৬ বছর বয়সী পাসাং দাওয়া শেরপা ২৬ তমবারের মতো এভারেস্ট শীর্ষে পৌঁছানোর রেকর্ড করেছেন। বুধবার কামি রিতা শেরপা ২৭তম রেকর্ড করলেন।
কামি রিতা শেরপা দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এভারেস্ট অভিযানে একজন গাইড হিসেবে কাজ করছেন। কামি রিতা শেরপা একটি বাণিজ্যিক অভিযানের জন্য কাজ করার সময় ১৯৯৪ সালে প্রথম ৮,৮৪৮-মিটার (২৯,০২৯-ফুট) চূড়ায় আরোহণ করেন।
তারপর থেকে তিনি প্রায় প্রিিত বছরই এভারেস্টে আরোহণ করেছেন, বিশ্বের সর্বোচ্চ স্থানে যাওয়ার পথ তৈরি করতে বেশ কয়েকবার রুপ-ফিক্সিং টিমের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
শেরপা গত মাসে বেস ক্যাম্পে যাওয়ার সময় এএফপি’কে বলেছিলেন, ‘এই রেকর্ডগুলো তৈরি করার উদ্দেশে নয় বরং আমার গাইড হিসাবে কাজ করার সময় এভারেস্ট আরোহণের এই রেকর্ডগুলো হয়েছে।’
‘এভারেস্ট ম্যান’ নামে পরিচিত কামি রিতা শেরপা ১৯৭০ সালে হিমালয়ের থামে নামের একটি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন, যা সফল পর্বতারোহীদের জন্য একটি বিচরণ ক্ষেত্র হিসাবে বিখ্যাত।
বড় হয়ে শেরপা তার বাবাকে দেখেছে এবং তারপরে তার ভাই ডনকে পর্বতারোহীদের পথপ্রদর্শক হিসেবে অভিযানে যোগ দিতে দেখেছে এবং শীঘ্রই তিনি তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন।
২০১৯ সালে তিনি ছয় দিনের ব্যবধানে দু’বার এভারেস্ট চূড়ায় পৌঁছেছিলেন।
বিশ্বের ১০টি সর্বোচ্চ শৃঙ্গের আটটির অবস্থান নেপালে। প্রতি বসন্তে শত শত অভিযাত্রীকে স্বাগত জানায় এই পর্বত শৃঙ্গ। এই সময় তাপমাত্রা উষ্ণ থাকে এবং বাতাস সাধারণত শান্ত থাকে।
নেপাল কর্তৃপক্ষ এই বছর বিদেশী পর্বতারোহীদের জন্য ৪৭৮টি পারমিট জারি করেছে। প্রতিটি সাসিটের খরচ ৪৫,০০০ ডলার থেকে ২০০,০০০ ডলার। প্রতিটি সামিটে মোট খরচের ১১,০০০ ডলার পারমিট ফি।