নোয়াখালীর সুবর্ণচরের ৬৬ হাজার হেক্টর অনাবাদি জমি এখন চাষযোগ্য

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)র সহায়তায় ৬৫৯১০ হেক্টর অনাবাদি জমি চাষযোগ্য হলো সুবর্ণচরে। তিন ফসলের সুফল পাচ্ছে একই জমিতে চাষিরা। এই অনাবাদি জমি গুলো এখন বিএডিসির সহায়তায় চাষবাদের আওতায় হওয়া লাভবান হচ্ছে সুবর্ণচরের কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, পরিত্যাক্ত বনাঞ্চল পরিস্কার করে ১২৬ একর জমি ঘিরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ২০১৪ সালে উপকূলীয় সুবর্ণচর উপজেলায় বিএডিসির কার্যক্রম শুরু করে।

শুরুতেই তেল, ডাল, বীজ ও সার নিয়ে কাজ করলেও সুবর্ণচরে কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী বর্তমানে নানা মুখি প্রকল্প হাতে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দেশীয় সকল প্রজাতির মাছ, পশু-পাখি, গাছ, ফুল, ফল ও ফসলসহ প্রায় সহস্রাধিক জাতের পণ্য নিয়ে কাজ করছে তারা। সুবর্ণচরে চাহিদা মিটিয়ে বিএডিসির বীজ সারাদেশের কৃষকদের মাঝে পৌঁছে যাচ্ছে।

বিএডিসির চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব এ এফ এম হায়াতুল্লাহ জানান, বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বিএডিসি।

নিরাপদ ও পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদনে কৃষকদের মাঝে উন্নত বীজ প্রদানের লক্ষে এ কাজে বিএডিসিকে সর্বাত্তক সহযোগীতা করছে সরকার। তিনি আরো বলেন বিএডিসি মুলত উন্নত জাতের বীজ বিতরণ, অনাবাদি জমিকে সেচের আওতায় আনা ও রাসায়নিক সার বিতরণের পাশাপাশি নিয়মিত চাষিদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশকে সমৃদ্ধশালী করার জন্য নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে।

স্থানীয় কৃষিবিদ শিবব্রত ভৌমিক জানান, বিএডিসির কারনে সুবর্ণচরে কৃষকরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি সারাদেশে বীজ উৎপাদন রপ্তানীতে ভুমিকা রাখছে। প্রতিদিন গড়ে শতাধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে সুবর্ণচরের বিএডিসিতে। এছাড়াও উন্নত জাতের বীজ উৎপাদনে সুবর্ণচরে চাষীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ এবং বিনামুল্যে বীজ বিতরণ ও তাদের থেকে ন্যায্য মুল্যে বীজ সংগ্রহ করছে তারা। এ কারনে সুবর্ণচরের কৃষকরা ব্যাপক ভাবে লাভবান হচ্ছেন।

নানা জাতের ধান, মৌসুমি ফসল, দেশীয় পাখি, গবাদি পশু ও বিভিন্ন জাতের ফল উৎপাদন করে সুবর্ণচরে কৃষিতে বিপ্লব আনবে বিএডিসি। এমন কথা বললেন বিএডিসি সুবর্ণচর অঞ্চলের পরিচালক মো. আজিম উদ্দিন। তিনি জানান- সুবর্ণচরের চুক্তিবদ্ধ চাষীদের থেকে বীজ সংগ্রহ করে সারাদেশে রপ্তানীর কথা ভাবছে বিএডিসি এছাড়াও বিএডিসির পরিধি আরোও ৫০ একর বৃদ্ধির কথা জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান