নড়াইলে ব্যস্ত সময় পার করছে দর্জি কারিগররা

আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে নড়াইলের দর্জি কারিগররা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্তু কাজ করছে তারা। যেন দম ফেলবার ফুরসত নেই তাদের। বিগত দুই বছর করোনার কারণে ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়েছে, এবছর সকল ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা।

মুসলিম ধর্মবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর আর বাকি কয়েক দিন। মূলত ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। আর এ খুশির দিনে নতুন কাপড় ছাড়া যেন পরিপূর্ণতা পায় না। তাইতো পরিবারের কর্তা ব্যক্তিরা পছন্দের কাপড় কিনতে ছুটছেন এদোকান থেকে সে দোকানে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নতুন পোশাক তৈরির জন্য শেষ সময়ে ছিট কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন। চেষ্টা করছেন সাধ্যমতো কাপড় কিনতে। এরপর প্রতিযোগিতা শুরু হয় পোশাক তৈরির দর্জি কারিগরদের।

কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার সালোয়ার-কামিজ বেশি বানানো হচ্ছে। যার মজুরি নেয়া হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা। পাঞ্জাবির মজুরি নেয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা, প্যান্ট ৩৫০-৪০০ টাকা। শার্ট ৩০০ টাকা।

শহরের পৌরসুপার মার্কেটের মোল্যা ক্লথ ষ্টোরের মালিক আব্দুল মতিন বলেন, ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে দোকানে ছিট কাপড় বিক্রি ভালো হচ্ছে। বিগত দুই বছর মহামারি করোনার কারণে ব্যবসা মন্দা থাকায় এ বছর বেচা-কেনা ভালো হচ্ছে। কাপড়ের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকায় বিক্রি বেড়েছে বলেও জানান তিনি।

রেক্স টেইলার্সের মালিক সুজিত কুমার বলেন, ইতিমধ্যে আমরা তৈরি পোশাকের অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি হাতে অনেক কাজ রয়েছে সেগুলো তৈরি করে কাস্টমারের হাতে নিদিষ্ট সময়ে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

ক্রেতা সাথি খানম বলেন, আমারসহ পরিবারের সদস্যদের জন্য পোশাক তৈরির জন্য কাপড় কিনলাম, তবে দাম একটু বেশি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির বলেন, ঈদকে ঘিরে নড়াইলের শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতানগুলোতে কেনাকাটার চাপ বেড়েছে। এ সময় অতিরিক্ত জনসমাগমের কারণে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনও অবনতি যাতে না ঘটে, সে জন্য গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট, শপিংমল, সড়কের সম্মুখে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনী সর্বক্ষণিক বাজার তদারকি করছেন খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান