পরিশোধিত পাম তেলে অগ্রিম কর প্রত্যাহার

ভোজ্য তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে এবার পরিশোধিত পাম তেল আমদানি পর্যায়ে আগাম কর প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
দামের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানতে পরিশোধিত পাম তেলের ওপর প্রযোজ্য ৫ শতাংশ আগাম করের পুরোটাই প্রত্যাহার করা হয়েছে নতুন এক আদেশে। এর আগে গত ১১ এপ্রিল অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল আমদানিতে অগ্রিম কর প্রত্যাহার করা হয়।
সোমবার এনবিআর চেয়ারম্যান আবু মো. হেনা রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত এই আদেশে বলা হয়, এই সুবিধা কেবলমাত্র ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলো পাবে। এর ফলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
এ বিষয়ে এনবিআরের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক সৈয়দ এ মু’মেন বাসসকে বলেন, পবিত্র রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের নেওয়া উদ্যোগের অংশ হিসেবে এনবিআর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগেও ভোজ্য তেলের বিভিন্ন পর্যায়ে কর কমানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি অত্যবশকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভায় প্রতি লিটার সয়াবিন (খোলা) মিল গেটে ১০৭ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১১০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন মিলগেট মূল্য ১২৩ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১২৭ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা। পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন মিলগেট মূল্য ৫৮৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৬০০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ৬২৫ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের বাজার অস্থিতিশীল থাকায় দেশের পরিশোধনকারী মিল ও ভোক্তাস্বার্থ বিবেচনায় ভোজ্য তেলের মূল্য সীমা নির্ধারণ করে দেয় সরকার।
ভোজ্য তেলের মধ্যে সয়াবিন, পাম ও পাম তেলের ওপর আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৫ শতাংশ আগাম কর (এটি), উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বিক্রয় ও সরবরাহ পর্যায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট রয়েছে। এর মধ্যে ধাপে ধাপে আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে।