পাটের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে: পাটমন্ত্রী

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী রবিবার বলেছেন, বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে বিশ্বের সেরা মানের পাট উৎপাদন করে এবং এ পাটের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে।
সচিবালয়ে বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএ) নেতাদের সাথে আলোচনায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিনা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আরজু রহমান ভূইয়াসহ বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যবহার বহুমুখীকরণ ও উচ্চমূল্য সংযোজিত পাটপণ্য উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাটকাঠি থেকে চারকোল, কম্পোজিট জুট টেক্সটাইল, জুট জিও-টেক্সটাইল, উৎপাদনের মাধ্যমে পাটখাতে নতুন নতুন বহুমুখী পণ্য সংযোজিত হচ্ছে।’

‘দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় এবং পাট শিল্পের বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণে সরকার ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্যকে বহুমুখী পাটজাত পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। কাঁচাপাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি, দেশের অভ্যন্তরে পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি, পাটের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ ও পরিবেশ রক্ষায়ও সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তবে, কাঁচাপাট রপ্তানিতে সরকার বাধা প্রদান করবে না,’ বলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী।

গোলাম দস্তগীর গাজী আরও বলেন, ‘এ খাতের নানামুখী সমস্যা সম্পর্কে সরকার সচেতন রয়েছে। বর্তমান সরকারের গৃহীত নীতিমালা ও পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে পাট খাতের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং পরিবেশ রক্ষায় অবদানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত জাতিতে পরিণত করা এবং বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশকে পুনরায় সোনালি আঁশের দেশ হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’

এর আগে মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২০’ পাওয়া উপলক্ষে নভেম্বরের শুরুতে নিজ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পাটমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা পুরস্কার আমাকে দেশ গঠনের কাজে আরও অনুপ্রাণিত করছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আজীবন কাজ করে যাব। দেশের উন্নয়নে যেন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি, এটাই সবার কাছে আমার কামনা।’