পুরনো রূপে ফিরেছে রাজধানী

????????????

দেশের সব স্কুল-কলেজ গতকালই খুলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় রাজধানীর দীর্ঘদিনের মোটামুটি স্বস্তির রাজপথে গতকালই আচমকা দেখা মেলে যানজটের। আজ দ্বিতীয় দিনে সেই যানজটের তীব্রতা আরো বেড়েছে। ফলে মনে হচ্ছে, পুরনো রূপেই যেন ফিরেছে চিরচেনা রাজধানী।

সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে যানজটের ভয়াবহ চিত্র দেখা যায়। সকাল ৯টার পর থেকেই রাজধানীর প্রায় প্রতিটি সড়কে যানজট লক্ষ্য করা গেছে। স্কুল-কলেজ সংলগ্ন ভেতরের রাস্তাগুলোতেও অতিরিক্ত রিকশা ও প্রাইভেটকারের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। রাজধানীর উত্তরা থেকে ছেড়ে আসা রাইদা বাসের এক চালকের সঙ্গে কথা হয় এয়ারপোর্ট বাস স্টেশনে। তিনি বলেন, গতকাল থেকে যানজট আজ আরো বেড়েছে। উত্তরা থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত আসতেই প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগে গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি সড়কে বাসের পাশাপাশি প্রাইভেটকারের সংখ্যাও অনেক বেশি। রয়েছে পর্যাপ্ত মোটারসাইকলও। এছাড়া স্কুল-কলেজ সংলগ্ন এলাকায় রিকশায় যাত্রীদের ওঠা-নামা বেশি দেখা গেছে। আর অফিস টাইম হওয়ায় প্রতিটি বাসে অফিসগামী মানুষের পাশাপাশি শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের বাড়তি চাপ রয়েছে। তারা বিভিন্ন স্থানে বাস থেকে উঠা-নামা করছেন, ফলে যানবাহনে ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছে।

রাজধানীর খিলক্ষেত বাসস্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী শফিকুল ইসলাম রাসেল। তিনি বলেন, আজও সড়কে তীব্র যানজট দেখা যাচ্ছে। বাসে খালি আসন তো নেইই, দাঁড়ানোর অবস্থা পর্যন্ত নেই। বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় কথা হয় সড়কে দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে। তিনি বলেন, অফিসগামী মানুষের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্টপেজ থেকে গণপরিবহনে উঠছে-নামছে। ফলে গণপরিবহনে ধীরগতি থেকে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

গত ১৯ আগস্ট থেকে রাজধানীতে শতভাগ গণপরিবহন চলাচল শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই যানজট সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। এর সঙ্গে ৫৪৩ দিন পর স্কুল-কলেজ খুলেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেরার অপেক্ষা শেষ হয়েছে শিক্ষার্থীদের। যে কারণে সড়কে অতিরিক্ত প্রাইভেটকারের পাশাপাশি রিকশাও চলাচল করছে। তথ্য-ডেইলি বাংলাদেশ

আজকের বাজার/আখনূর রহমান