প্রধানমন্ত্রী সায় দিলে কমবে তেলের দাম

প্রধানমন্ত্রী সায় দিলে দেশের বাজারে তেলের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শিগগির এতে ইতিবাচক সাড়া দেবেন বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার ১৯ এপ্রিল আইএমএফ সদরদপ্তরে ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিটসুহিরো ফুরুসাওয়ার সঙ্গে এক বৈঠকের পর এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন- অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য দেশের অর্থনীতিবিদরা তেলের দাম কমানোর পরামর্শ দিচ্ছেন এবং তিনি নিজেও এর সঙ্গে একমত। আইএমএফ কর্মকর্তাদের আমি বলেছি আমরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি (সাবসিডি) অব্যাহত রাখতে চাই। এই মুহূর্তে আমি জ্বালানি তেলের দাম একটু কমাতে চাই। ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে কমানোর ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্তও হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে সে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। তিনি সায় দিলেই তেলের দাম কমানো হবে।

গতবছরের শেষ দিকেও অর্থমন্ত্রী দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে আনার উদ্যোগের কথা বলেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে যে তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ১০৫ ডলার, দফায় দফায় কমে এক পর্যায়ে ২০১৬ সালে তা ৩৩ ডলারে নেমে আসে।

এই প্রোপটে বিভিন্ন মহলের দাবির মধ্যে ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪ শতাংশ এবং অকটেন ও পেট্রোলের দাম ১০ শতাংশের মতো কমানো হয়। তার কয়েকদিন আগে ফার্নেস অয়েলের দাম প্রতি লিটার ৬০ টাকা থেকে ৪২ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।

তেলের দাম যে পরিমাণ কমেছে, তাতে যানবাহনের ভাড়ায় তেমন কোনো পরিবর্তন না আসায় আরও কমানোর দাবি ছিল ভোক্তাদের। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর মুহিত তাদের আশার কথা শুনিয়ে বলেন, তেলের দাম আরেক দফা কমানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং তা জানুয়ারিতেই কার্যকর হতে পারে।

কিন্তু বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকদের জানান, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম আবার খানিকটা বেড়ে যাওয়ায় আপাতত জ্বালানি তেলের দাম কমছে না।

আজকের বাজার রিপোর্ট: আরআর/২১.০৪.২০১৭