বগুড়ায় কৃষকরা আমন চাষে ঝুঁকেছে

জেলার কৃষকরা বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমন চাষে ঝুঁকেছে। তাই এবার কৃষি বিভাগের দেয়া লক্ষ্যমাত্রর চেয়ে বেশি জমিতে আমন চাষ হয়েছে। মাঠ জুড়ে সবুজ আমন ক্ষেত। এবার বন্যার কারণে বগুড়ায় বোরোর কিছু ক্ষতি হলেও তা পুষিয়ে নিতে কৃষক নতুন উদ্যমে আমন রোপণ করছে। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচারক দুলাল হোসেন জানান, এবার কৃষি বিভাগের দেয়া লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আমন চাষ হয়েছে।

জেলায় এবার ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। এ পরিমাণ জমিতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে (চাল আকারে) ৫ লাখ ৬১ হাজার ৪৩৪ মেট্রিকটন। কিন্ত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমন চাষ হওয়ায় উৎপাদন লক্ষমাত্রা অতিক্রম অতিক্রম করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক।

বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক দুলাল হোসেন জানান, জেলায় আমন ধান এবার কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। জেলায় এ পর্যন্ত ১ লাখ ৮০ হাজার ৮৪৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে এবার কৃষি বিভাগ নির্ধারিত উৎপাদনের চেয়ে প্রায় ৫ হাজার মেট্রিকটন আমন উৎপাদন হবে।

তিনি বলেন, বোরোতে ভালো দাম পাওয়া এবং বর্ষায় সবজির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় কৃষকরা সবজির বদলে আমন চাষে ঝুঁেক পড়েছে। বগুড়ার আমন ধান ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমণ সম্পর্কে কৃষি কর্মকর্তা বলেন, জেলায় ৪৪ হেক্টর জমিতে মাজরা পোকার আক্রমণ হয়েছে। তিনি বলেন মাঠ কর্মীরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।মাজরা পোকা ধানের কোন ক্ষতি করতে পারবে ন। প্রতি বছরই মাজরার আক্রমণ হয়।

তাতে ধান উৎপাদনে কোন প্রভাব পড়ে না। কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানান, এবার সামান্য কিছু ক্ষেতে পোকার আক্রামণ সত্বেও আমনের বাম্পার ফলন হবে। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, এ সময়টাতে মাজরা পোকার কিছুটা আক্রমণ হয়ে থাকে। তবে এতে উৎপাদনে তেমন প্রভাব পড়বেনা। এবার আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদ আশা করছেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার হাট সাজাপুর গ্রামের কৃষক আনসার আলী।

এবার কেন আমন চাষ বেশি হচ্ছে এর উত্তরে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচারক জানান,কৃষক এবার বোরেতে ভালো দাম পেয়েছে। বোর আর আমনের মধ্যবর্তী সময়ে পতিত জমিতে আউশ ধান চাষ কওে কৃষকরা লাভবান হয়েছে। ছাড়া বৃষ্টিতে সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষক ধান চাষে ঝুঁকে পড়েছে। তাই আমনে উৎপাদন বেড়েছে।