বসুন্ধরা পেপারের বিডিং শুরু আজ

আজকের বাজার প্রতিবেদক: আজ থেকে শুরু হচ্ছে বসুন্ধরা পেপারের বিডিং। বিকেল ৫টা থেকে ১৯ অক্টোবর বিকাল ৫টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে বিডিং শুরু করবে বসুন্ধরা পেপার কর্তৃপক্ষ। বিডিংয়ে অংশ নেবে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা (ইলিজিবল ইনভেস্টরস)।
কোম্পানিটির আইপিও অংশ হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য নিলামের অনুমতি দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন,বিএসইসি।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানিটি ইলেকট্রনিক বিডিংয়ের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির পাশাপাশি কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণ করবে। কাট-অফ প্রাইস তথা যে দামে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত কোটার শেয়ার বিক্রি শেষ হবে, সেই দামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হবে।
মবিল যমুনার পর দেশের পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বড় প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) নিয়ে আসছে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরার সহযোগী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। আইপিওতে উত্তোলিত আকারে এটি হবে তৃতীয় বৃহত্তম কোম্পানি।
বিএসইসি সূত্র মতে, পুঁজিবাজার থেকে কোম্পানিটি ২০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। সংগ্রহ করা অর্থের একটি বড় অংশ দিয়ে কারখানার আধুনিকায়ন ও মেশিনারি আমদানি করবে কোম্পানিটি।

এর আগে ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে গ্রামীণ ফোন ছয় কোটি ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪০০টি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ৪৮৬ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ৬০ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ারের জন্য বিনিয়োগকারীদের পরিশোধ করতে হয় ৭০ টাকা। এরপর বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ২০১০ সালে পুঁজিবাজার থেকে ৫০৮ কোটি টাকা তোলে মবিল যমুনা বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা শেষ হলে, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে ফের অনুমতি চাইতে হবে। অনুমতি পেলে শেয়ার আবেদন ও চাঁদা গ্রহণের সময়সূচি প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
পুঁজিবাজার থেকে কোম্পানিটি ২০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। সংগ্রহ করা অর্থের একটি বড় অংশ দিয়ে কারখানার আধুনিকায়ন ও মেশিনারি আমদানি করবে কোম্পানিটি। যাতে ব্যয় করা হবে ১২০ কোটি টাকা। আইপিওতে উত্তোলিত অর্থ থেকে ৬০ কোটি টাকা ব্যয় হবে ঋণ পরিশোধে। কারখানার অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যয় হবে ৬ কোটি টাকা। ইনস্টলেশন কস্ট ব্যয় হবে ৩ কোটি টাকা। যন্ত্রাংশে খরচ হবে ৩ কোটি টাকা। ভূমি ও ভূমি উন্নয়নে খরচ হবে ৩ কোটি টাকা, আইপিওতে খরচ হবে ৫ কোটি টাকা।
কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য হবে ১০ টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ১৪৭ কোটি টাকা। কোম্পানিটি (জানুয়ারি, ১৬-মার্চ, ১৬) সময়ে শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৮৬ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৬৩ পয়সা। তবে আগের বছর এই ইপিএস ছিল ৪ টাকা ৪০ পয়সা।

২০১৫ সালে কর পরবর্তী মুনাফা ছিল ২৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। যা এর আগের বছরে ছিল ২১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ৩০ টাকা ৬ পয়সা। আর (জানুয়ারি, ১৬-মার্চ, ১৬) সময়ে শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ৩০ টাকা ৯২ পয়সা।

বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড আইপিওতে আনতে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে ট্রিপল এ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। আর রেজিস্টার টু দ্য ইস্যু হিসেবে রয়েছে এফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড।