বাংলাদেশের লক্ষ্য ৩২৫

অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বিশ্রামে। সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নেতৃত্ব দিলেন বটে, তবে বোলিংয়ে এলেন আট নম্বরে। করলেন মাত্র ৩ ওভার। ব্যাটিংয়ে তামিম ইকবালকে না নামানোর ভাবনাও আছে। এসবেই ফুটে উঠছে, ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচটিকে কিভাবে দেখছে বাংলাদেশ।

মূল বোলারদের দুজনকে ছাড়া বাংলাদেশের বোলিং খুব গোছানো হয়নি। টস করলেও ব্যাটিং করেননি বিরাট কোহলি। তার পরও ভারত ছাড়িয়েছে তিনশ। ওভালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা তুলেছে ৩২৪ রান।

একদিন পরই মূল টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ। অধিনায়ককে তাই বিশ্রাম দিয়েছে বাংলাদেশ। মাঠে বাকিরাও ছিলেন বেশ গা ছাড়া। হয়ত মূল টুর্নামন্টের এত কাছে ক্লান্তিকে সঙ্গী করতে চায়নি দল।

দল ম্যাচটিকে গুরুত্ব না দিলেও অবশ্য ব্যক্তিগত কিছু চাওয়া-পাওয়ার ব্যাপার আছে। এই ম্যাচে দারুণ কিছু করে নিজেদের দাবিটা জানিয়ে রাখতে পারতেন তাসকিন আহমেদ ও সানজামুল ইসলাম। তবে তারা উল্টো সহজ করে দিয়েছেন টিম ম্যনেজমেন্টের কাজ। দুজনই ছিলেন খরুচে।

আগের কদিন লন্ডন ছিল রোদ ঝলমলে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা। সঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাস। ইংলিশদের জন্য আরামদায়ক আবহাওয়া, তবে উপমহদেশের জন্য একটু চ্যালেঞ্জিং।

কেনিংটন ওভালের এই উইকেট ব্যাটিং স্বর্গ হওয়ার পরও ওই কন্ডিশনের কারণেই মূলত বাংলাদেশ টস জিতে নিয়েছে বোলিং। ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় উত্তাপও ছড়িয়েছেন নতুন বলের দুই বোলার। তার পরই অনেকটা মিইয়ে গেছে দল। এগিয়েছে ভারত।

ইনিংসের দ্বিতীয় আর রুবেল হোসেনের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই ফিরে গেছেন রোহিত শর্মা। ছুটির কারণে আগের প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলা ওপেনার রুবেলের বাইরের বল টেনে এনেছেন স্টাম্পে।

অজিঙ্কা রাহানেও আউট একইভাবে। স্টাম্পে টেনেছেন মুস্তাফিজের বল। সপ্তম ওভারে ভারত ২ উইকেটে ২১।

তবে তাসকিন বোলিংয়ে আসতেই আলগা হয় ফাঁস। স্পিন আসার পর শিখর ধাওয়ান আর দিনেশ কার্তিক পা রাখেন রান প্যাডেলে। তৃতীয় উইকেটে ৯৯ বলে ১০০ রানের জুটি গড়েন দুজন।

সানজামুলের এক নির্বিষ বল বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন ধাওয়ান। গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের শিরোপা জয়ের নায়ক এবারও শুরুর আগে ফিরলেন ছন্দে।

রান পাওয়াটা আরও বেশি জরুরি ছিল কার্তিকের জন্য। ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দিয়ে এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান দলে ফিরেছেন শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে। আগের প্রস্তুতি ম্যাচে ফিরেছিলেন শূন্য রানে। এদিন স্পিনে দারুণ খেলে ৭৭ বলে ৯৪ রানে স্বেচ্ছা অবসর। একাদশে জায়গাটাও হয়ত পাকা করে ফেললেন।

পরে ঝড় তুলেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। অপরাজিত ছিলেন ৫৪ বলে ৮০ রানে। রান পেয়েছেন কেদার যাদব, রবিন্দ্র জাদেজারাও।

৬ ওভারে ৪৫ দিয়েছেন তাসকিন। দুটি উইকেট উপহার পেলেও সানজামুল ৯ ওভারে রান দিয়েছেন ৭৪। মিরাজ অবশ্য ছিলেন বেশ নিয়ন্ত্রিত।

দারুণ শুরু করেও পরে ধরে রাখতে পারেননি মুস্তাফিজ। সেরা বোলার রুবেল। শেষ দিকে কিছু রান গুণেছেন। তবে পাকিস্তান ম্যাচে বিশ্রাম পাওয়া পেসার এদিনও ঝরিয়েছেন আগুন।

ইনিংসের শেষ দিকেও স্পিন চালিয়েছে বাংলাদেশ। এটিই বলে দিচ্ছে ম্যাচের গুরুত্ব দলের কাছে কতটা। তবে ব্যাটিংটায় একটু গুরুত্ব দিলে ৩২৫ রান তাড়া করে জয় খুব কঠিন নয়!

আজকের বাজার: আরআর/ ৩০ মে ২০১৭