বিএনপিতে কেন এতো সাহসের সঙ্কট?

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমি বিএনপিকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করি না। এখনো আওয়ামী লীগ বিরোধী শক্তি বিএনপির ব্যানারে আশ্রয় নেয়। সুতরাং ওরা খুব দুর্বল, এটা আমি মনে করি না। তাদের তাচ্ছিল্য করি না। কিন্তু বিএনপির মতো বড় একটি দলে কেন এতো সাহসের সঙ্কট? কেন তারা ভয়কে জয় করতে পারে না, এটা আমার প্রশ্ন। দেশবাসীরও প্রশ্ন।

সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে রবিবার (৩০ অক্টোবর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ)-এর আয়োজনে ‘উন্নয়ন ও সমসাময়িক রাজনীতি’ শীর্ষক সংলাপে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

বিএসআরএফ-এর সভাপতি শ্যামল সরকারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিকুর রহমানের সঞ্চালনায় এ সময় প্রধান তথ্য কর্মকর্তা একেএম শামীম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ভয়ের মধ্যে আছে। কিন্তু কিসের ভয় তাদের? এতো বড় একটা দল, ৫শ’ লোকের একটা মিছিল করতে পারে না। ভীতি সন্ত্রাসের মধ্যে রাসেল স্কয়ারে আমরা ২০ জন হলেও তো গেছি। আব্দুস সামাদ আজাদ আজকে নেই, প্রয়াত। পুলিশ এক কর্মীকে নিয়ে যাচ্ছে তিনি পুলিশের গাড়িতে উঠে পড়লেন। বললেন ওকে (কর্মী) নিয়ে গেলে আমাকেও নিতে হবে। পুলিশ তাকে বলেছে, এটা উপরের নির্দেশ নিতে দেন। সামাদ আজাদ বলেছেন আমারও উপরের নির্দেশ, ওকে ছাড়া আমি যাব না। এ রকম নেতা কী বিএনপিতে আছে? বিএনপির মতো দলে এতো সাহসের সঙ্কট। আব্দুস সামাদ আজাদের মতো একজনও কী এ রকম সাহস দেখাতে পারেন না?

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সংবিধান অনুযায়ী দেশ চালাই। সবিংধান অনুযায়ী ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি যেভাবে সার্চ কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিলেন, সেভাবেই এবারও কমিশন পুর্নগঠন হবে। এখানে তো কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বিএনপি মহাসচিবের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নাই। বিএনপির সমস্যা হচ্ছে- ভয় পেয়ে জয় করতে পারে না। আন্দোলনেও পারেনি, নির্বাচনেও পারেনি। যদি তারা ভয়কে জয় করতে না পারে তাহলে হতাশা তাদের থেকেই যাবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকেই সংলাপের কথা বলেন, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি আর সংলাপ চাইব না, এটা হতে পারে না। সংলাপ আমি চাই, প্রয়োজন হলে সংলাপ আমি করবো। কিন্তু, এই মুহূর্তে সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই। ভবিষ্যতে যদি জাতীয় প্রয়োজনে সংলাপের প্রয়োজন হয়, তাহলে অবশ্যই করবো।

আর আমাদের নেত্রী প্রধামন্ত্রী কী খালেদা জিয়াকে সংলাপের আহ্বান করেননি? গণভবনে ডাকেননি। কোকো (আরাফাত রহমান কোকো) মারা যাওয়ার পর সহকমর্মিতা জানানোর জন্য গেলেন, কিন্তু তিনি দরজা বন্ধ করে দিলেন। সংলাপের দরজা তো সেখানেই বন্ধ হলো। তারপরেও বলছি, দেশের প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই সংলাপ করবেন। তবে এই মুহূর্তে সংলাপের প্রয়োজন নেই।

জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিলে জাপার মতো এরকম দল বিরোধী দলে থাকতো না উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত ছিলো বিএনপির বড় ভুল। আগামীতে আর তারা এ ভুল করবে না। আগামীতে বিএনপি নির্বাচনে আসবে, ভালভাবেই আসবে। নির্বাচনে না আসলে ভুলের চোরাবালিতে তারা ডুবে যাবে। আর কেউ নির্বাচনে না আসলে যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন হবে।
(সূত্র: দ্যা রিপোর্ট ২৪.কম)