বিএসইসিতে ১৮ কোম্পানির আইপিও আবেদন

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের জন্য (আইপিও) ১৮টি কোম্পানি আবেদন করেছে। এর মধ্যে ১০টি কোম্পানি বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে এবং বাকি ৮টি কোম্পানি স্থির মূল্য পদ্ধতিতে আসতে আগ্রহী।

বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এতে আরও জানা গেছে, সম্প্রতি নতুন দুটি কোম্পানির আইপিও আবেদনের অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি। কোম্পানি দুটি হলো- প্যাসিফিক ডেনিমস ও শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

নতুন করে আইপিওতে আসতে আবেদনকারীদের মধ্যে বিভিন্ন খাতের কোম্পানি রয়েছে। গত কয়েক বছরের মতো এবার বস্ত্র খাতের কোম্পানির তেমন আধিপত্য নেই। পুঁজিবাজারে আসতে চায় জ্বালানি, ওষুধ, প্রকৌশল, আইটি, অটোমোবাইল, সেবা, পেপার খাতের কোম্পানি।

নতুন করে আবেদন করা কোম্পানিগুলোর মধ্যে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওতে আসতে আগ্রহী কোম্পানিগুলো হলো- এসটিএস হোল্ডিংস (অ্যাপোলো হাসপাতাল) ৩০ কোটি টাকা, ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট ৬০ কোটি টাকা, বেঙ্গল পলি অ্যান্ড পেপার স্যাক ৫৫ কোটি টাকা, ডেল্টা হসপিটাল ৫০ কোটি টাকা, বসুন্ধরা পেপার মিলস ২০০ কোটি টাকা, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস ৭০ কোটি টাকা, রানার অটোমোবাইলস ১০০ কোটি টাকা, আমরা নেটওয়ার্কস ৫৬ কোটি টাকা, আমান কটন ফেব্রিক্স ৮০ কোটি টাকা এবং ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্টিজ ৪০ কোটি টাকা।

অভিহিত বা স্থির মূল্য পদ্ধতিতে আইপিওতে আসতে আগ্রহী কোম্পানিগুলো হলো- ইফকো গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল ২০ কোটি টাকা, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন ২০ কোটি টাকা, বিবিএস কেবলস ২০ কোটি টাকা, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি ২০ কোটি টাকা, ওইমেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ ১৫ কোটি টাকা, অ্যামিউলেট ফার্মাসিউটিক্যালস ১৫ কোটি টাকা, নাহি অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল ১৫ কোটি টাকা করে এবং নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার ৪৩ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করতে চায়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারের গতিশীলতা ও গভীরতা বাড়াতে বিভিন্ন খাতের মৌল ভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানি বাজারে অন্তর্ভুক্তির জন্য কাজ করছে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো। উদ্যোক্তাদের কাছে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তির গুরুত্ব উপস্থাপন করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। পুঁজিবাজারের প্রতি ভালো উদ্যোক্তাদের আগ্রহী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সুত্র: অর্থসূচক