বিচারক নিয়োগ নীতিমালা বিষয়ে রুল নিষ্পত্তি করে রায়

উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের নীতিমালা নিয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ পর্যবেক্ষণসহ এই রায় দেন।

তবে আদালত রায়ে কি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন তা, উল্লেখ করা হয়নি। এ বিষয়ে বিস্তারিত রায় পেলেই জানা যাবে বলে জানিয়েছেন মামলার আইনজীবী।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন হাসান এম এস আজিম। এ সময় রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

পরে রিটকারী আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বিচারক নিয়োগ নীতিমালা সংক্রান্ত বিষয়ে জারি করা রুলটি নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছেন। তবে রায়ে কি পর্যেবেক্ষণ দিয়েছেন তা পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলেই আমরা জানতে পারব। পূর্ণাঙ্গ রায় দেখে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’

এ মামলায় ২০১৬ সালের ১০ মে রুল শুনানি শুরু হয়, যা শেষ হয় ২৮ আগস্ট। ওইদিনই শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন আদালত। রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ থাকা দীর্ঘ প্রায় আট মাস পর বুধবার রায়ের দিন নির্ধারণ করা হয়।

রুল শুনানিকালে এ মামলায় অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে মতামত দিয়েছেন সাতজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। তারা হলেন- ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আজমালুল হোসেন কিউসি, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও এ এফ হাসান আরিফ।

বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যক্তি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা আনতে সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালের ৩০ মে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী এ রিট দায়ের করেন।

রিটের শুনানি নিয়ে ২০১০ সালের ৬ জুন বিচারপতি মো. ইমান আলী ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে বাছাই প্রক্রিয়ায় ‘স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা’ আনতে কেন সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা তৈরি করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন ।

পরে রিট মামলাটি শুনানির জন্য বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে যায়। ওই বেঞ্চ সাতজন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন।