‘বিদ্যুত খাতে কস্ট অডিট করা গেলে লাভবান হবে জনগণ’

বিদ্যুত খাতে যদি কস্ট অডিট করা যায়, তবে দেশ তথা সাধারণ মানুষ অনেক লাভবান হবে। এটি বুঝাতে সরকারের বিভিন্নি সংস্থার সাথে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন আইসিএমএবি সভাপতি আরিফ খান এফসিএমএ।

আজ বৃহস্পতিবার দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) ২ দিনব্যাপী কস্ট অডিট কর্মশালার উদ্ধোধন করা হয়। আইসিএমএবি রুহুল কুদ্দুস অডিটরিয়ামে সন্ধ্যায় এ কর্মশলার উদ্ধোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরিফ খান এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নে কস্ট অডিটের গুরুত্ব অনেক। আমাদের দেশে কস্ট অডিট না হওয়ায় প্রচুর সিস্টেম লস হয়। এটি কমাতে হলে কস্ট অডিট প্রয়োগ করতে হবে। সরকারি কাজে কস্ট অডিটের গুরুত্ব অপরিসীম। বিদ্যুত খাতে যদি কস্ট অডিট করা যায় তবে দেশ তথা সাধারণ মানুষ অনেক লাভবান হবে। এটি বুঝাতে সরকারের বিভিন্নি সংস্থার সাথে আমরা আলোচনা করছি।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সরকার পৃথক কস্ট অডিট বোর্ড গঠন করবে। অচিরেই সরকার এটি গঠন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ইনস্টিটিউটের সাবেক সভাপতি ও কস্ট অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড কমিটির চেয়ারম্যান এম আবুল কালাম মজুমদার এফসিএমএ স্বাগত বক্তব্যে বলেন, কস্ট অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড পরিব্যয় বিবরণী ব্যবহারকারী, নিয়ন্ত্রক, সরকার পরিব্যয়ের শ্রেণীবিন্যাস পরিমাপ ও বিভাজনের ক্ষেত্রে সমরুপতা ও ধারাবাহিকতা বজার রাখার লক্ষ্যে দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য কস্ট অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভারতের অর্থমন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান উপদেষ্টা সিএমএ ভারত বুসান গোয়েল ও আইসিএ ইন্ডিয়ার কস্ট অডিট এন্ড অ্যাসুরেন্স স্ট্যান্ডাডার্স বোর্ডের চেয়ারম্যান সিএমএ রাজু আইয়ার।

এতে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের সচিব মো. আবদুর রহমান।

সুত্র: অর্থসূচক