বৃষ্টিতে আলুবীজ নষ্ট, বীজ সংকটের আশঙ্কা

বৈরী আবহাওয়া এবং টানা বর্ষণের কারণে মুন্সীগঞ্জে আলু উত্তোলন এবং বীজ আলু নিয়ে বিপাকে পরেছেন আলুচাষিরা। এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৭১ শতাংশ আলু উত্তোলন হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জে ৩৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে এবার আলু বপন করা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৩০ হেক্টর জমি। সামনের মৌসুমের জন্য আলুবীজ আলু প্রস্তুত এবং জমি থেকে আলু উত্তোলন করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন এই অঞ্চলের আলুচাষিরা। লাভের অঙ্ক শূন্য এবং ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দুশ্চিন্তায় সময় পার করছেন এই অঞ্চলের আলুচাষিরা।

গজারিয়ার আলুচাষি হাসান জাহাঙ্গীর জানান, এবারের আলু মৌসুমে বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে আলু জমি। সামনের বছরের জন্য তৈরীকৃত আলুবীজ এবার বিনিষ্ট হয়ে গেছে। সামনের মৌসুমে আলু বপনের জন্য আলুবীজের দাম অনেক বেড়ে যাবে বলে ধারণা করছি।

সিরাজদিখান উপজেলার খিদিরপাড় এলাকার আলুচাষি হাসেম আলী জানান, এবারের মৌসুমে আলু চাষ করে আশার আলো নিভে গেছে। ভারী বৃষ্টিপাত এবং শিলার কারণে আলু জমিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সামনের মৌসুমের জন্য আলুবীজ জমিতে তৈরি হচ্ছিল কিন্তু বৃষ্টিপাত এবং শিলার কারণে তা নষ্ট হয়ে গেছে। আশপাশের জমিগুলোতেও আলুবীজ নষ্ট হয়ে গেছে।

মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হুমায়ূন কবির জানান, এবারের মৌসুমে আলু নষ্ট হয়েছে কিন্তু বীজ আলু নষ্ট হয়েছে কি না জানা নেই। বিএডিসি ৭৭ হাজার মেট্রিক টন বীজ আলুর চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ বীজ মাত্র ২ হাজার মেট্রিক টন। তবে এই এলাকায় হল্যান্ডের বীজ আলুতে ফলন বেশি হওয়ায় এর ওপর চাষিরা বেশি নির্ভরশীল। তাই আলুর জমিতে বীজ আলু নষ্ট হলেও তেমন প্রভাব পড়বে না।