বয়স ভালো থাকার রকমফের উপায়

বয়স তিন ধরনের:-

১)চুল ও চামড়ার পরিবর্তন যেটি স্বাভাবিক।

২)পরিপক্কতায় সেটি গাম্ভীর্যপূর্ণ হতে পারে।

৩)মেকআপ কিংবা প্রসাধনীর গুণে।

এসব ছাড়াও দৈনিক ব্যায়াম, যোগাসন, খাবার দাবারে সচেতনতা বছরের পর বছর বয়সকে ধ্রবক করে রাখে। তবে আটকে রাখতে পারবে না। একটু ভালো করে লক্ষ্য করলেই বয়সটা বোঝা যাবে। আবার অল্পতেই বুড়িয়ে যায় মানুষ এমনও আছে। হরমোনের পরিবর্তন,থাইরয়েড এর সমস্যা আছে। আছে মানসিক চিন্তা নানা ধরনের টেনশন যেটি উচ্চরক্তচাপ ও বহুমুত্র রোগ হবার জন্যে প্রাথমিক ভাবেই দায়ী।

আমি কোনো চিকিৎসক নই।তবে সাধারণ সচেতন মানুষ হিসেবে একটু চোখ কান খোলা রাখলে যে কেউ বোঝে আজকালকার যুগে। কিন্তু আজকালকার যুগেই সমাধান যত, সমস্যাও যেন তত। তারপরও বেঁচে থাকার পথ কঠিন মনে হলে মসৃণতার পথটা বের করা আবশ্যক।

জীবনে টেনশন নামক শব্দটা না চাইলেও থাকবে। এই যেমন শহুরে আরাম আয়েশে জীবন যাপন করতে হলে বাড়তি খরচার চিন্তা। ভালো গাড়িতে চলাচলের ইচ্ছে হলে সেটির খরচা কত সেটিও বড় চিন্তায় পরিণত হয়। আমার কাছে তাই এত টাকাপয়সার চাকচিক্যময় কিংবা আভিজাত্যের বিলাসী জীবন ভালো লাগেনা। এটি আমার ব্যক্তিগত ভাবনা। অনেকেরই কাছে যেটি স্বপ্ন ও উচ্চাবিলাসীর।

নিচু ভবন থেকে তাই উঁচু ভবনের দিকে তাকিয়ে মন খারাপ করার কিছু নেই। সুখ নিজের কাছে নিজের বিষয়। পরিশ্রম করে সৎ পথে থেকেও অর্জন করা সুখ কোনো আভিজাত্যময় জীবনযাপন চাইতে কম তো নয় বরঞ্চ ঢেঢ় গুণ সুখের।

অনেক টাকা থাকলেও টেনশন পিছু ছাড়ে না। তার প্রথম ও প্রধান কারণ নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে, দ্বিতীয় বেশী খেলে অসুস্থতা হবার ভয় ইত্যাদি।

নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত জীবন যাপনই কী সুখের?

তেমন সুখের না হলেও অসুখের নয়।যদি সৎ ভাবে, পরিশ্রম করার অভিপ্রায় থাকে তবে সাফল্য আসবেই। হয়তো পরিবারে সবার খরচা যোগান দেয়া, যৌথ পরিবারে টাকা পয়সা সংক্রান্ত সমস্যায় পরতে হয়। তবে পারিবারিক বন্ধন জোরালো হলে সব সমস্যার সমাধানই সম্ভব।

সত্যি বলতে উচ্চ বিত্ত, মধ্যবিত্ত বা নিম্ন বিত্ত যে অবস্থাতেই বিরাজমান থাকুক বন্ধনটা খুব জরুরি। দুঃখের বিষয় আত্মীয়, আপনজনেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা গ্লোবালাইজেশন অর্থাৎ বিশ্বায়নের যুগেও বেশি।

কাউকে না কাউকে এই প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে আসতে হয়ই। সে হয়তো জানাবে না, বোঝাবে না। তবে মনে মনে চাইবে। তিল তিল করে গড়ে ওঠা পরিবার বা কাছের মানুষদের ভালো চায় বলেই নীরব ভূমিকা পালন করবে। দিনের পর দিন তার বা তাদের আশীর্বাদে সুখ কখনো ধরা দেয় কখনো না বড় কোনো সমস্যার পরিত্রাণ হয়।

পরিবারের বা ভালোবাসার এমন মানুষদের তাই যত্ন করা প্রয়োজন। অবশ্যই প্রয়োজন। হতে পারে সে পরিবারের সবচাইতে বৃদ্ধ কিংবা সবচেয়ে কনিষ্ঠ কেউ..।

হাসিনা সাঈদ মুক্তা
লক্ষিবাজার, সিংটোলা
ঢাকা-১১০০

আজকের বাজার/আখনূর রহমান