‘ভারতের ঋণের শর্ত শিথিল’

ভারত সরকারের ঋণের শর্ত আগের চেয়ে শিথিল হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

স্থানীয় সময় শনিবার ২২ এপ্রিল ওয়াশিংটনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্ব ব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠক চলাকালে বিশ্ব ব্যাংক সদরদপ্তরে ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান আবুল মাল আবদুল মুহিত।

তিনি বলন, আগে এই ঋণের অর্থের ৭৫ শতাংশ দিয়েই ভারত সরকারের কাছ থেকে কেনাকাটা করতে হত। এখন সেটা কমে ৬৫ শতাংশে নেমে এসেছে। প্রথম পর্যায়ে ২০১০ সালে ভারতের কাছ থেকে যে ১০০ কোটি ডলার ঋণ নেওয়া হয়, তাতে সুদ ছিল ১ দশমিক ৭ শতাংশ। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০০ কোটি ডলার ঋণে সুদের হার ১ শতাংশে নেমে আসে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণের যে চুক্তি হয়েছে, তার সুদ হারও ১ শতাংশ থাকছে।

বৈঠক শেষে তিনি বলেন, বৈঠকে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভারতের অর্থমন্ত্রী। আমাদের দুই বন্ধু দেশের মধ্যে এখন খুবই সুন্দর সম্পর্ক বিরাজ করছে। শুধু একটাই অসমাপ্ত বিষয় রয়ে গেছে, সেটা হচ্ছে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটার সমাধান হয়ে যাবে। আমিও বলছি, দ্রুতই সমাধান হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, তিন পর্যায় মিলিয়ে ভারত সরকারের কাছ থেকে আমরা মোট সাড়ে সাত বিলিয়ন ডলার পাচ্ছি। এটা একটা বড় অংকের ঋণ সহায়তা, যা আমাদের বিনিয়োগ তথা উন্নয়নে বড় অবদান রাখবে। আমি ভারতের অর্থমন্ত্রীকে বলেছি, এবার আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর বেশ পপুলার হয়েছে। যে ঋণচুক্তি হয়েছে তা নিয়ে বিরোধী দল থেকেও তেমন সমালোচনা আসেনি। এর কারণ হল-এবার আমরা আগেই প্রজেক্ট ঠিক করে রেখেছিলাম।

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব কাজী শফিকুল আযম বলেন, ভারতের আগের দুই পর্বের ঋণের সফলতার পথ ধরেই তৃতীয় পর্বের ঋণের চুক্তি স্বারিত হয়েছে। ভারতের সঙ্গে প্রথম ২০১০ সালে ১০০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি হয়েছিল। ওই ঋণে ১৫টি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়; যার আটটি প্রকল্প এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। বাকি সাতটি প্রকল্প শেষ হওয়ার পথে।

আজকের বাজার: আরআর/২৩.০৪.২০১৭