ভোলার দুটি অভায়শ্রমে আগামীকাল থেকে মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে

জেলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকার দুটি ইলিশের অভায়শ্রমে আগামীকাল এক মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। এর মধ্যে মেঘনা নদীর চর ইলিশা থেকে মনপুরার চর পিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার এলাকায় একটি অভায়শ্রম ও অন্যটি তেঁতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালীর চর রুস্তম পর্যন্ত ১’শ কিলোমিটার এলাকা।
ভোলার দুটি অভায়শ্রমসহ দেশের মোট ৬টি অভায়শ্রমে একইসময় থেকে মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। এতে করে জাটকা (ছোট ইলিশ) রক্ষাসহ অনান্য সব ধরনের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ বাসস’কে জানান, নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম সফল করতে অভায়শ্রম এলাকায় দিনে ও রাতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। সমস্ত মাছ ধরার নৌকা ঘাটে আটক করে পাহারার ব্যবস্থা রাখা হবে। যাতে নদীতে নামতে না পারে। একইসাথে বরফ বিক্রির ক্ষেত্রে বিক্রেতাদের রেজিস্ট্রার ব্যবহার করতে হবে। শুধুমাত্র সাগরগামী মাছ ধরার ক্ষেত্রে বরফ বিক্রি করা হবে। আইন ভঙ্গকারী কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
এদিকে মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে প্রতিদিনই স্থানীয় হাট-বাজার, জেলে পল্লী-মাছ ঘাট ও মৎস্য আড়ৎগুলোতে জেলেদের নিয়ে সচেতনতা সভা চালানো হচ্ছে। জেলেদের নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে জানান দিতে ব্যানার, পোষ্টার, লিফলেট, মাইকিং এর  মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চলছে। এ সময়ে জেলেদের গ্রহণ করা ঋণের কিস্তি স্থগিত রাখার জন্য এনজিওগুলোকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরো জানান, শুধু জাটকা নয়, একইসাথে অনান্য সকল মাছের বাচ্চারা অভায়শ্রমে বৃদ্ধি পাবে। অভায়শ্রমে থেকে দু মাস মাছ ধরা থেকে বিরত থাকলে ইলিসসহ সব প্রকারের মাছের প্রাচুর্যতা বাড়বে ভোলায়। আমরা জেলেসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এ বিষয়ে সচেতনতা সভা ও অনান্য প্রচার প্রচারণা করছি। উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিদিনই সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
মৎস্য বিভাগ জানায়, গত অর্থবছর জেলায় মোট ইলিশের উৎপাদন হয়েছিলো ১ লাখ ৭৮ হাজার মেট্রিকটন। যা দেশের মোট ইলিশ উৎপাদনের ৩৩ ভাগ। এবছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিকটন। অভায়শ্রমে মার্চ-এপ্রিলের নিষেধাজ্ঞা সফল করা গেলে ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা।