মহাসাগর সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে

বিশ্বের সমুদ্রগুলোকে বাঁচানোর বিষয়ে আয়োজিত বিশ্ব সম্মেলনে অংশগ্রহনকারী দেশের প্রতিনিধিরা ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সম্মেলনের আয়োজক দেশ পানামা শুক্রবার একথা বলেছে।
হোয়াইট হাউসের জলবায়ু বিষয়ক দূত জন কেরি বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৬ বিলিয়ন ডলার দিবে।
পানামানিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইল দেল কারমেন ওটেরো নির্দিষ্ট প্রস্তাবগুলো সম্পর্কে বিশদ আলোচনার আগে দু’দিনব্যাপী ‘আওয়ার ওশান সম্মেলনে’ মোট অঙ্গীকারের পরিসংখ্যান ঘোষণা করেছিলেন।
পানামায় মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, মার্কিন প্যাকেজে ২০২৩ সালে গভীর সমুদ্র রক্ষার জন্য ৭৭ টি প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫ বিলিয়ন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় ব্যয় করা হবে।
এরমধ্যে প্রায় ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হবে ওয়াশিংটনের মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস আইন থেকে ‘সামুদ্রিক সম্পদ এবং উপকূলীয় সম্প্রদায়ের জন্য স্থায়ী জলবায়ু সহিষ্ণু বিকাশের জন্য,’ দূতাবাস বলেছে।
টেকসই মাছ ধরার জন্য আরও ৬৬৫ মিলিয়ন বরাদ্দ করা হয়েছে, ২০০ মিলিয়নেরও বেশি দূষণ মোকাবেলা কর্মসূচির জন্য,৭৩ মিলিয়ন সুনীল অর্থনীতি কর্মসুচির জন্য,৭২ মিলিয়ন সমুদ্র নিরাপত্তার জন্য এবং ১১ মিলিয়ন সুরক্ষিত এলাকার জন্য।
বৃহস্পতিবার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঘোষণা করেছে যে, তারা এই বছর সমুদ্র-সম্পর্কিত প্রকল্পগুলোতে ৮১৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থের একটি বড় অংশ ৩২০ মিলিয়ন ইউরো সামুদ্রিক জীববৈচিত্র রক্ষা এবং সমুদ্রের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো মোকাবেলায় গবেষণায় ব্যয় করা হবে। যেখানে আরও ২৫০ মিলিয়ন ইউরো সেন্টিনেল-১সি স্যাটেলাইটটি বরফ গলতে পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করবে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিরীক্ষণ ও করবে।
বিশ্বব্যাপী প্রায় ৬০০ বিশেষজ্ঞ, সরকারী কর্মকর্তা এবং সমাজসেবীরা সম্মেলনে অংশ নেন।
প্রতিনিধিরা চুক্তি গ্রহণ করে না বরং সমুদ্র সুরক্ষার জন্য স্বেচ্ছায় প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করে।