মানদন্ড ঠিক থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে : শিক্ষামন্ত্রী

ফাইল ছবি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানদন্ড ঠিক থাকলে এমপিও ভুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, পূর্বের জাতীয়করণ করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান বাড়লে দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে সবটুকু সক্ষমতা নিয়োগ করবে সরকার।
শিক্ষামন্ত্রী আজ  রাজধানীর মিরপুর বাংলা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ মাঠে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) এর ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্বাশিপ সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন  স্বশিপের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু।
এমপিওভুক্তির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্ততে সরকারের সক্ষমতার ব্যপার আছে। কিন্তু যদি যোগ্য শিক্ষক না হন, তাহলে এমিপওভুক্তি  সঠিক হবে না। শিক্ষক মানসম্পন্ন কিনা, প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত, পাশের হার কত, শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত- এসবের একটি মানদন্ড থাকতে হবে।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী  নিজেদের মানদন্ড  ঠিক রাখতে সংশ্লিষ্ঠদের প্রতি আহবান জানান।
স্বাশিপের আট দফা দাবির প্রেক্ষিতে জাতীয়করণ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শিক্ষার মান অর্জন করতে চাই। অতীতের অভিজ্ঞতা হলো আমরা যে সকল প্রতিষ্ঠান  জাতীয়করণ করেছি সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান কি আরও বেড়েছে, নাকি কমেছে। এটা আগে বুঝতে হবে।
তিনি আরো বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হয়েছে সেখানে শিক্ষা মান যদি বাড়ে তাহলে সবগুলোই জাতীয়করণ করা হবে ।  যদি মান না বাড়ে তাহলে জাতীয়করণ করা হবে না।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনারা নিজেকে দক্ষ করে তোলেন। আশা করবো আপনারা সবাই প্রশিক্ষণে উদ্যোগী হবেন। যেখানে সুযোগ পাবেন সবাই  প্রশিক্ষণ নিয়ে নেবেন।
তিনি বলেন,  ‘এখনতো অনলাইন, অফ লাইন দুইভাবে প্রশিক্ষণ হচ্ছে। অনলাইনে নিজেদের দক্ষ করে তুলবেন।’
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন এখনও বাস্তবায়ন করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন, দক্ষ, প্রায়োগিক ও বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পুরো শিক্ষা ব্যাবস্থাকে  জাতীয়করণ করতে চেয়েছিলেন। চলমান মেগা প্রকল্পগুলো শেষ হয়ে গেলে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করা হবে। তবে শিক্ষা জাতীয়করণে  সফলতা আসলেই হবে না। সে জন্য প্রশিক্ষণ দিতে হবে শিক্ষকদের।