মার্কিন নির্বাচনে লাখ লাখ অবৈধ ভোট পড়েছে : ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের নববির্নাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিশ্চিতভাবে বলেছেন, গত ৮ই নভেম্বরের নির্বাচনে ‘অবৈধভাবে প্রদান করা লাখ লাখ ভোট বাদ দেয়া হলে’ দেখা যাবে তিনিই জনপ্রিয় ভোটে জয়লাভ করেছেন। পাশাপাশি উইসকনসিনে ভোট পুনর্গণনার তীব্র সমালোচনা করে একে ‘সময় নষ্টের শামিল’ বলে উল্লেখ করেছেন।

তবে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া রিপাবলিকান দলের ট্রাম্প তার দাবির সপক্ষে কোন প্রমাণ তুলে ধরেননি।

গ্রিন পার্টির এক প্রার্থীর আবেদনের প্রেক্ষিতে উইসকনসিনে ভোট পুনর্গণনার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তাতে পরাজিত ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের শিবির সমর্থন দেয়ার কথা বলার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বক্তব্য দিলেন।

ইলেক্টোরাল ভোটের হিসেবে ট্রাম্প নির্বাচনে জিতলেও ভোটের হিসেবে হিলারি ট্রাম্পের চেয়ে প্রায় ২০ লাখ জনপ্রিয় ভোট (পপুলার ভোট) বেশি পেয়েছেন।

রোববার এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়ে ব্যাপক বিজয় অর্জন করেছি। আর গত ৮ই নভেম্বরের নির্বাচনে অবৈধভাবে প্রদান করা লাখ লাখ ভোট বাদ দেয়া হলে দেখা যাবে জনপ্রিয় ভোটেও আমি জয়লাভ করেছি।’

পরে আরো এক টুইটার বার্তায় তিনি লেখেন, ‘নির্বাচনে জিততে যদি ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতির পরিবর্তে তথাকথিত পপুলার ভোট হিসাব করা হত, তাহলে জয় পাওয়া আমার জন্য আরো অনেক সহজ হত। তখন আমাকে ১৫টি রাজ্যের বদলে মোটে ৩-৪টি রাজ্যে প্রচারণা চালালেই হত।’

তিনি এও অভিযোগ করেন, হিলারির জয় পাওয়া ভার্জিনিয়া, নিউ হ্যাম্পশায়ার ও ক্যালিফোর্নিয়ায় ‘মারাত্মক ভোট জালিয়াতি’ হয়েছে। তবে এ ইস্যু নিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম টু শব্দটি করছে না।
এর আগে ট্রাম্প তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক প্রার্থীকে স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনি ইতোমধ্যে পরাজয় মেনে নিয়েছেন এবং প্রেসিডেন্টসিয়াল বিতর্কের বক্তব্যও প্রকাশ করেন যেখানে হিলারি ক্লিনটন বলেছিলেন, ভোটে যে ফলই আসুক তিনি তা মেনে নেবেন।

ওই বিতর্কে বরঞ্চ ট্রাম্প হেরে গেলে ফল প্রত্যাখানের বক্তব্যেরও সমালোচনা করেছিলেন ক্লিনটন।
উইসকনসিনে খুব সীমিত ব্যবধানে জয় পেয়েছেন ট্রাম্প। গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেইন এ রাজ্যে ভোট পুনর্গণনার আবেদন করেন। ভোট পুনর্গণনায় উইসকনসিনে হিলারি ক্লিনটন জয় পেলেও ট্রাম্পের জয়ের ফলাফল উল্টে দেয়া সম্ভব হবে না।

তবে মিশিগান এবং পেনসিলভানিয়া রাজ্যেও ভোট পুনর্গণনার অনুরোধ করেছেন জিল স্টেইন। তিনি কম্পিউটার কারসাজির মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফল ট্রাম্পের পক্ষে পাল্টে না দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হতে চান। এ কারণেই তিনি ভোট পুনর্গণনার আবেদন করেছেন।

সুত্র: বাসস